হাওর ডেস্ক::
বর্ষা মাস শুরুর আগেই ডেঙ্গু ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে সিলেটজুড়ে। অনেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে জনসাধারণে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ডেঙ্গুকে এক সময় গ্রীষ্মকালীন রোগ হিসেবে বললেও এখন এটি আবহাওয়া নির্ভর হয়ে পড়ছে। সাধারণত গ্রীষ্মকাল (বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ) জুড়ে এই রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। তবে
সিলেটে এবার শীতকাল থেকেই বেড়েছে ডেঙ্গু রোগী। পৌষ ও মাঘ অর্থাৎ শীতকালে
সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক ছিলো। বর্ষার মৌসুমে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কাও রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় জানিয়েছেন, চলতি বছরের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত (বুধবার ১৫ মে) সিলেট বিভাগে ১৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে শুধু সিলেট জেলাতেই ১৩ জন। আর সুনামগঞ্জে ২ ও মৌলভীবাজারে ১ জন শনাক্ত হয়েছেন। আর হবিগঞ্জে কোন রোগী শনাক্ত হননি। শুধু এপ্রিল মাসে সিলেট বিভাগে ৪ জন শানাক্ত হয়েছে।
এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় এ বছর এখন পর্যন্ত (১৫ মে) কোন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হননি বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ ফনি ভূষণ সরকার সিলেটভিউকে বলেন, এবার বছরের শুরু থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর তা ছিলো স্তিমিত। এ বছর
সিলেটে বিভাগে যে ১৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন তারা সকলেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। কেউ কেউ বাড়ি ফিরেছেন।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে
সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। এরই মধ্যে এডিস মশার লাভা নির্মূলে স্থায়ী সমাধানের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।
তিনি সিলেটভিউকে বলেন, আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ মেয়র মহোদয়কে আমাদের কর্মপরিকল্পনার রূপরেখা দিয়েছি। নগরীতে মশক নিধনের জন্য স্থায়ী সমাধানের কথা এই রূপরেখায় বলা হয়েছে। বিশেষত প্রতিদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ যেমন চলে ঠিক একইভাবে মশক নিধনের কার্যক্রম চলাতে হবে।
তিনি জানান, আগামী ১ জুন থেকে পুরো শহরে মশক নিধনে সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ অপর্যাপ্ত ও অপরিকল্পিত বলছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। তারা বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই নগরীর কাউন্সিলররা উদ্যোগ নিয়ে সবার মধ্যে ডেঙ্গু সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন।