হাওর ডেস্ক::
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন সিয়াম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মাহবুবুল হক রোববার সন্ধ্যায় এ আদেশ দেন।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা সিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। সেই আবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক।
পুলিশের ভাষ্য, আনার হত্যার হোতা আক্তারুজ্জামান শাহীনের সহকারী হিসাবে কাজ করতেন সিয়াম। তার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে।
আনার খুন হওয়ার খবর আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সিয়াম ঘটনার পর নেপালে পালিয়েছেন বলে তাদের ধারণা।
এর মধ্যে তিনদিন আগে নেপালে সিয়ামের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
এদিকে আনার হত্যার তদন্তে থাকা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল বর্তমানে নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে রয়েছেন।
গত শনিবার রওনা হওয়ার আগে তিন সদস্যের দলটির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, “ঝিনাইদহের মাননীয় সংসদ সদস্য- ওনার হত্যাকাণ্ডের কয়েকজন আসামি কাণ্ডমন্ডুতে গিয়ে কেউ চলে গেছে, কেউ থাকতে পারে। সেই বিশ্বাসে আমরা সেখানে যাচ্ছি। ইন্টারপোলকে আমরা চিঠি দিয়েছি, ইন্টারপোলের মাধ্যমে আমরা কাঠমন্ডু পুলিশকে আমরা জানিয়েছি, এখানে সিয়ামসহ বেশ কয়েকজন আসামি-তারা কেউ চলে গেছে, কেউ আছে।
“এই বিষয়গুলি তাদেরকে আমরা অবহিত করেছি এবং তারা যদি থাকে- তাদেরকে যেন তারা গ্রেপ্তার করে; এটা আমরা অনুরোধ করছি। তারই ধারাবাহিকতায় মামলাটার তদন্তের অগ্রগতি করার জন্যই মূলত আমরা সেখানে যাচ্ছি।”
আনার হত্যার ঘটনাস্থল হিসেবে কলকাতার নিউটাউনের যে ভাড়া বাড়ির কথা বলা হচ্ছে, এর আগে সেই সঞ্জিভা গার্ডেনসেও তদন্তের কাজে গিয়েছিল অতিরিক্ত কমিশনার হারুনের নেতৃত্বে ডিবির একটি দল।
পুলিশ বলছে, এমপি আনার হত্যার ‘হোতা’ তার বাল্যবন্ধু ও ঝিনাইদহের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আখতারুজ্জামান ওরফে শাহীন মিয়া। আর হত্যাকাণ্ডটি বাস্তবায়ন করেছেন চরমপন্থি নেতা আমানুল্লা ওরফে শিমুল। আনার কলকাতায় যাওয়ার পরদিন বৈঠক করার জন্য শাহীনের ভাড়া বাসায় যান। সেখানেই আসামিরা তাকে হত্যা করে।
আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে তার বাবাকে ‘হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের’ অভিযোগ আনা হয়। তবে আসামি হিসেবে সেখানে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
ওই মামলাতেই সিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ মামলার আসামি আমানুল্লা ওরফে শিমুল ভুঁইয়া, তানভীর ভুঁইয়া ও সেলেস্টি রহমানকে দুই দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে ডিবি পুলিশ।
এমপি আনার হত্যার তদন্তে নেপালে হারুনের দল