হাওর ডেস্ক::
গাজীপুর মহানগরীর নাওজোর এলাকায় মহাসড়ক পার হওয়ার সময় মিনিবাসের ধাক্কায় এক নার্স আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা তাকওয়া পরিবহনের একটি মিনিবাসে আগুন দেয়।
সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোর এলাকায় গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কাশেম ট্রেক্সটাইল মিলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শাপলা খাতুন (২৭) পাবনা জেলার চাটমোহর থানার জাবর কোল গ্রামের ইসরাইস হোসেনের মেয়ে। তিনি গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় সিটি মেডিকেল নামে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স হিসেবে কর্মরত।
এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা মিনিবাসে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক প্রায় ত্রিশ মিনিট অবরোধ করে রাখে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত পৌনে ৯টার সময় গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কাশেম টেক্সটাইলের সামনে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের (গাজীপুর-জ-১১-০০৯২) ধাক্কায় শাপলা খাতুন আহত হন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বাসন থানার ওসি আবু সিদ্দিক বলেন, “শাপলা খাতুন ডিউটি সেরে রাত পৌনে ৯টার দিকে বাসায় ফিরছিলেন। পথে কাশেম টেক্সটাইলের সামনে তাকওয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি মিনিবাস তাকে চাপা দেয়। এতে শাপলা গুরুতর আহত হন।
“এলাকাবাসী তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখান থেকে তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কিন্তু অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
ওসি আরও বলেন, “ওই সেবিকার মৃত্যু হয়েছে, এমন খবরে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকওয়া পরিবহনের একটি মিনিবাসে আগুন দিয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ওই পথে বাস চলাচল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। আধা ঘণ্টার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে ওই মহাসড়কে বাস চলাচল শুরু করে।”
গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, “একজনের মৃত্যুর খবরে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকওয়া বাসটিতে আগুন দেয়। খবর পেয়েঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে বাসটির বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে।”