হাওর ডেস্ক::
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জটিল সমীকরণ দেখা দিয়েছে সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগে। বিপরীতমুখী অবস্থানে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট ও সাধারন সম্পাদক নোমান বখত পলিন ।
একাধিক উপজেলায় নিজস্ব প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন তারা। তবে চূড়ান্ত ভাঙ্গন তৈরি হয় সাধারণ সম্পাদক পলিন বখত জেলা সভাপতি নুরুল হুদা মুকুটের ভাই খায়রুল হুদা চপলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায়।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে এবার নির্বাচন করছেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক খায়রুল হুদা চপল, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে রাব্বী স্মরণ ও আওয়ামী লীগ নেতা মনিষ কান্তি দে মিন্টু।
খায়রুল হুদা চপলের পক্ষে প্রতিদিন সভা সমাবেশ ও গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন তাঁর ভাই সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট ও জেলা আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ। ছাত্রলীগ সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপনও প্রতিদিন গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন।
অপরদিকে ফজলে স্মরণের পক্ষে ইতোমধ্যে ভিডিও বার্তায় ভোট চেয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত ও সুনামগঞ্জ -৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ সাদিকের সহধর্মিনী অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম।
এ ছাড়া আরেক প্রার্থী মনিষ কান্তি দে মিন্টুর পক্ষে অবস্থান নেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন নুরুল হুদা মুকুট। তিনি বলেন, সময় আসবে!
এর আগে জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদের নির্বচানী মঞ্চে বক্তব্য দেন নোমান বখত পলিন।
অন্য প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম শামিমের পক্ষে ভোট চান নুরুল হুদা মুকুট। সর্বশেষ সোমবার ( ৩ জুন) শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নানের পুত্র সাদাত মান্নান অভির পক্ষে ভোট চান পলিন।
তবে আরেক প্রার্থী আবুল কালামের প্রতি নুরুল হুদা মুকুটের দুর্বলতা থাকলেও প্রকাশ্য সভায় বক্তব্য দেন নি।
সভপতি-সাধারণ সম্পাদকের এমন বিপরীতমুখী অবস্থানে তোলপাড় চলছে সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগে।
ছাতকেও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বলয় পরববর্তনের হিড়িক পড়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক শামিম চৌধুরীর বলয় থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদ আলী সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক বলয়ে যোগ দেন। মানিক বলয় থেকেও শামিম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ চলছে বলে জানা গেছে।
কর্মীরা বলছেন, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে গ্রুুপিং তৈরি হচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে আরো জটিলতা বাড়বে।