হাওর ডেস্ক::
ঢাকার ধামরাই উপজেলায় একটি ‘রুপার চেইন ছিনিয়ে’ নিতে সাত বছরের এক ছেলে শিশুকে ‘ধর্ষণের’ পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করার পর মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৪ সাভার ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ক্যাম্পের সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান।
গ্রেপ্তার আল আমিন (২২) মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জয়রা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ধামরাইয়ের কালামপুর এলাকায় পরিবারসহ ভাড়া বাসায় থাকতেন।
নিহত শিশু জিসান হাসান রাব্বি ধামরাইয়ের কালামপুর বাজার এলাকায় আলমের ভাড়া বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত। তার বাবা জুয়েল রানা ওই বাজারের ‘হাজী বিরিয়ানি হাউজের’ কর্মী।
জুয়েল রানা বলেন, রোববার বিকালে জিসান খেলা করতে গিয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হয়।
“পরদিন বিকালে কালামপুর বাজার কবরস্থানের পশ্চিম পাশে জঙ্গলের ভেতর জিসানের লাশ দেখতে পেয়ে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।”
সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান বলেন, ওই ঘটনায় শিশুটির বাবার অভিযোগের ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। এক পর্যায়ে শিশুটির হত্যায় জড়িত সন্দেহে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে রাকিব মাহমুদ বলেন, রোববার বিকালের দিকে কালামপুর এলাকায় শিশুটির গলায় রুপার চেইন দেখতে পায় আল আমিন। এ সময় কৌশলে শিশুটিকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়।
সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে তার গলায় থাকা রুপার চেইনটি খুলে নেয়। পরে শিশুটির পরনের জামার ফিতা দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে এবং মাথার অংশ কাদায় চেপে ধরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
র্যাব কর্মকর্তা আরও দাবি করেন, গ্রেপ্তার আল আমিন মাদকসেবী। মাদকের টাকা জোগাড় করতে সে সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই ও এর আশপাশ এলাকায় চুরি, ছিনতাইয়ের পাশাপাশি ডাকাতিও করত।
গ্রেপ্তার আল আমিনকে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর ও পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।