হাওর ডেস্ক::
এ হিসেবে এবারের দিবসটি পালন করা হচ্ছে আজ রোববার (১৬ জুন)। বাবা দিবসের ধারণাটি পশ্চিমা বিশ্বের হলেও দিবসটি এখন বাংলাদেশসহ প্রায় সব দেশেই উদ্যাপন করা হয়।
ভালোবাসা, নির্ভরতা আর ভরসার ছায়া জড়িয়ে আছে যে শব্দটির সঙ্গে তা হলো পৃথিবীর ছোট ও মধুর শব্দ ‘বাবা’ ডাকটির মধ্যে।
ধারণা করা হয়, বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে বাবা দিবস পালন শুরু হয়। মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল- এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্ট এলাকার এক গির্জায় ‘বাবা দিবস’ প্রথম পালিত হয়।
অন্যদিকে ১৯০৯ সালে ভার্জিনিয়ায়ও বাবা দিবস পালন করা হয়। এরপর ওয়াশিংটনের সনোরা স্মার্ট ডড নামের এক নারীর উদ্যোগে ১৯১০ সালের ১৯ জুন বাবা দিবস পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঈদে ঘোরার সেরা ৫ দর্শনীয় স্থান
মা-এর পাশাপাশি বাবাও যে সন্তানের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ এ ধারণা ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে দানা বাঁধতে শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়।
১৯২৪ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বিফ শামি কাবাবের সহজ রেসিপি
শুরুর দিকে বাবা দিবসের এতটা জনপ্রিয়তা না থাকলেও বর্তমানে বাবা দিবসকে বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হয়। আর একজন প্রকৃত সন্তান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত এই বিশেষ দিনটিতে নিজের বাবাকে আগের চেয়ে আরও বেশি সম্মান এবং শ্রদ্ধা করা।