হাওর ডেস্ক::
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অভিযান প্রায় শেষ হলো বলে। সাকিব আল হাসানের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারও কি শেষের কাছে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও নেই। তিনি নিজে এখনও এসব নিয়ে কিছু ভাবেননি বলেই দাবি করলেন। সময় হলে দলের প্রয়োজনীয়তা ও নিজের মনোভাব বুঝে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানালেন ৩৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
অবসর নিয়ে প্রশ্ন এখন কিছুটা নিয়মিতই শুনতে হচ্ছে সাকিবকে। বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে তিনি অবিসংবাদিত। ক্যারিয়ারে তার খারাপ সময় এসেছে টুকটাক, তবে কখনোই তা খুব দীর্ঘ হয়নি। পারফরম্যান্সের কারণে দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্ন ক্যারিয়ারজুড়ে কমই উঠেছে তার।
সেই সাকিব এখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। ব্যাটিংয়ে তো নিজের ছায়া হয়ে আছেন বেশ কিছু দিন ধরেই, তার মূল শক্তির জায়গা যেটি, যেখানে কখনোই খুব খারাপ তিনি করতেন না, সেই বোলিংয়েও এখন তিনি অনেকটা ধারহীন ও অচেনা। অবসর নিয়ে প্রশ্রে অবকাশ করে দিচ্ছে তার এমন পারফরম্যান্সই।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অবসর ভাবনা নিয়ে জানতে চাওয়া হয় সাকিবের কাছে। তিনি সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিলেন সময়ের হাতে।
“শেষ (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ)কি না, জানি না। পৃথিবীতে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হওয়া সম্ভব। এটা তো সিদ্ধান্ত নেবে আসলে ক্রিকেট বোর্ড। আমার নিজেরও ব্যক্তিগত কিছু সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। তবে এগুলো আসলে এখনই এখানে আলোচনা করার বিষয় নয়। এগুলো সময়ের সঙ্গে হয়তো আলোচনা হতে পারে।”
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে টি-স্পোর্টসে সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, এই বিশ্বকাপ দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান তিনি। তবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তাকে সেটি মনে করিয়ে দেওয়া হলে তিনি বললেন, আগের সেই ভাবনা থেকে সরে এসেছেন তিনি।
“বলেছিলাম যে, তখনও পর্যন্ত চিন্তা এরকম… চিন্তা তো বদলাতেই পারে। এগুলা নিয়ে আসলে আমি অনেক বেশি চিন্তিত নই। অনেক বড় বিরতি আছে সামনে। নিজের ওপর রিফ্লেক্ট করা যাবে, দলের প্রয়োজনীয়তা ভেবে দেখা যাবে, যদি দল মনে করে যে, আমাকে দরকার আছে, যদি আমি মনে করি যে দলে আমার দরকার আছে ও আমি ওভাবে তাড়না অনুভব করছি, সবকিছু যদি ঠিকঠাক তাহলে, তাহলে এটা খেলার বিষয় দেখা যাবে।”
“উপভোগ না করলে তো অবশ্যই খেলার বিষয় নয়। তবে এগুলো এখন সময়ের ব্যাপার। যেহেতু অনেক বড় একটা বিরতি আছে, এরপর টেস্ট ম্যাচই বেশি খেলা হবে, স্বাভাবিকভাবেই মনোযোগ ওদিকেই বেশি চলে যাবে। তো সময়ের ওপরই ছেড়ে দেই। যখন সময় হবে, সবাই সব জেনে যাবে।”
এবার বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে বিসিবির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দৃষ্টি আছে তার।