হাওর ডেস্ক::
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের মারধরে চিকিৎসক কোরবান আলীর মৃত্যুর মামলায় দুই আসামি গোলাম রসুল নিশান ও আরিফুল্লাহ রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৩ রুমানা আক্তার রোববার নিশানকে তিন দিন ও রাজুকে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন।
নিশানের আইনজীবী ফজলে রাব্বি রিফাত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুজনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি নিয়ে বিচারক এ আদেশ দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার এ দুই আসামিকে রিমান্ডে নিতে আবেদন করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তার আগের দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাহির সামি, আকিব, বগা সোহেল, ফয়জুল আকবর চৌধুরী আদর, প্রিন্স বাবু, আরিফুল্লাহ রাজু, অপূর্ব, সাগর, রিয়াদ, সংগ্রাম ও শাফায়েত।
দাঁতের চিকিৎসক কোরবান আলীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে গত ৫ এপ্রিল।
ওই দিন নগরীর আকবর শাহ থানার ফিরোজশাহ কলোনি ঈদগাঁও মাঠ সংলগ্ন জে লাইনে তার ছেলে আলী রেজাকে মারধর করছিলেন কিশোরদের একটি দল। ছেলেকে বাঁচাতে ছুটে গেলে কিশোরেরা পাথর দিয়ে কোরবান আলীর মাথায় আঘাত করে। পরদিন ১২ জনের নাম উলে্লখ করে আকবর শাহ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
আলী রেজা জানান, ঘটনার সময় অচেতন অবস্থায় তার বাবাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বেসরকারি একটি হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল ভোরে তিনি মারা যান।
আলী রেজার ভাষ্য, হামলার দুই মাস আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী এক স্কুল শিক্ষার্থীসহ দুজনকে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে মারধর হতে দেখে তিনি এগিয়ে যান। সেসময় জরুরি সহায়তা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা নিয়েছিলেন। পরে পুলিশ সেখান থেকে একজনকে আটক করে দুই স্কুল শিক্ষার্থীকে রক্ষা করে।
আলী রেজা আরও বলেন, গোলাম রসুল নিশান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং হামলাকারীরা তার অনুসারী। ৬ ফেব্রুয়ারি ঘটনার পর সেদিন রাতেই নিশান তার বাসায় গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছিলেন।