হাওর ডেস্ক::
বিএনপিকে এখন ‘তারেক ভূত’ পেয়ে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, “কীভাবে তারেক ভূত? নেতারা সকাল বেলা উঠে দেখে তার পদ নাই, তারেক জিয়া তার পদ কেটে দিয়েছে। বিএনপির নেতারা তারেক ভুতের কারণে এখন শঙ্কার মধ্যে আছে, কখন তার পদ চলে যায়।”
শুক্রবার বিকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর ড্রিম প্লাস রিসোর্ট অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তার পদ নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছেন মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কয় দিন আগে দেখলাম মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বলে কাঁদলেন। বেগম খালেদা জিয়া তো বহুদিন থেকে অসুস্থ ইতিপূর্বেতো তাকে কাঁদতে দেখি নাই, এখন কেন তিনি কান্না শুরু করলেন?
“কারণ হচ্ছে পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে যে- ‘মহাসচিবের খোঁজে বিএনপি’। সেই শিরোনাম যেদিন আসল তার পরের দিন দেখি মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অঝোরে কাঁদছেন। এবং পত্রিকায় বলা হলো- তিনি খালেদা জিয়ার জন্য কাঁদছেন। আসলে তিনি কী কারণে কাঁদছেন সেটিই বড় প্রশ্ন।”
এছাড়া খালেদা জিয়া অসুস্থ হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ‘খুশি হন’ বলেও দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “বিএনপির কথা-বার্তায় মনে হয় বেগম খালেদা জিয়া যখন অসুস্থ হয়, তখন বিএনপি খুশি হয়। তখন তারা বলে বেগম খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন এবং বিদেশে পাঠানো ছাড়া কোনো উপায় নাই। কিন্তু প্রতিবার দেখছি বেগম খালেদা জিয়া দেশে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে ঘরে ফেরত যান।”
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কোনো চুক্তি হয়নি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি বড় বড় নেতারা চুক্তি আর সমঝোতা স্মারকের পার্থক্য বোঝেন না। এমনকি দলের মহাসচিব মীর্জা ফখরুল সাহেবও। তিনি কলেজের একজন শিক্ষক ছিলেন তিনিও এই সমঝোতা স্বাক্ষরকে চুক্তি বলে উল্লেখ করলেন।”
আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে দলের নেতাকর্মীদের ‘আলস্য ধরেছে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের নতুন নেতা-কর্মীরা যাদের বয়স ত্রিশ, সেও বিরোধী দল দেখে নাই। বিরোধী দলের কি যন্ত্রণা সে জানে না-বুঝে না।
“সে শুধু দলকে ক্ষমতায় দেখেছে। সেজন্যে আজকে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এবং যাদের মধ্যে আলস্য এসেছে সে আলস্য ঝেড়ে ফেলতে হবে।“
তিনি আরও বলেন, “ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে কিছু সুবিধাভোগীর অনুপ্রবেশ ঘটেছে। সেখান থেকেও দলকে মুক্ত করতে হবে।”
আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহাজান খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সুফা বেগম রুমি।
সভায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিনসহ রংপুর বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন আসনের দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।