স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মিছিলে আরো এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার নাম যুক্ত হয়েছে। শনিবার তৃণমূল আওয়ামী লীগের এ প্রভাবশালী নেতা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাচনাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম তৃণমূল কর্মীদের সমাবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। শনিবার দুপুরে জামালগঞ্জের সাচনাবাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলার ৬ ইউনিয়নের স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিমিয় সভায় তিনি এ ঘোষনা দেন। মতবিনিময় সভায় সুনামগঞ্জ-১ আসনের তাহিরপুর, ধর্মটপাশা ও মধ্যনগর থানার নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য স্থানীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে গিয়ে ইতোমধ্যে এই আসনে একাধিক নেতা প্রার্থীতা ঘোষণা করলেও তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা ও প্রভাবশালী এ রাজনীতিবিদ রেজাইল করিম শামীম অবশেষে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আলোচনা শুরু হয়েছে।
জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক সমরেন্দ্র আচার্য্যরে সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজাউল করিম শামীম। প্রার্থীতা ঘোষণার সময় সুনামগঞ্জ-১ আসনের চার থানার আ.লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাকে হাততালি দিয়ে সমর্থন জানান।
মতবিনিময়সভায় বক্তব্য রাখেন, ধর্মপাশা উপজেলা আ.লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর কবির, সাবেক চেয়ারম্যান ও যুগ্ম সম্পাদক মোবারক হোসেন, জামালগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি দ্বীজেন্দ্র লাল রায়, স্বপন রায়, নিশেন্দু রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী এম.নবী হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যেন্দ্র কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক আলী তালুকদার, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক তালুকদার, ফেনারবাঁক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা চৌধুরী খোকন, বেহেলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্মাল্য কান্তি রায় সসীম, ভীমখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান শাহ্, সাচনাবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন মাষ্টার প্রমুখ।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ প্রার্থী তার বক্তব্যে বলেন, আমি ইতোপূর্বে এই আসনের জাতীয় নির্বাচন গুলোতে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছি। নিষ্টা, আন্তরিকতা ও ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করায় তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সঙ্গে সর্ম্পকের সেতুবন্ধন আরো মজবুত হয়েছে। তিনি বলেন, দলের পক্ষে কাজ করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার রাজনীতি করার কারণে আমাকে হামলা-মামলা করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি। এখন স্থানীয় সরকারের বারবারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন তৃণমূলে পৌঁছে দিতে কাজ করছি। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ চার দশকের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আমাকে উদ্ধুব্ধ করছেন। আজ তাদের সামনে আমি আমি আনুষ্ঠানিক প্রার্থীতা ঘোষণা করলাম।