হাওর ডেস্ক::
টা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় সিলেটের বিভিন্ন ইউনিট থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে আজ বুধবার পর্যন্ত সিলেট বিভাগের ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের অন্তত ৪ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী নেতারা তাদের নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলে এ ঘোষণা দেন।
পদত্যাগকৃতরা হলেন- গোলাপগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক তাহমিদ হোসেন, সিলেট মহানগরের ১৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফেরদৌস খান হিমেল, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ নং সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি সৈয়দ দিনুল আহমদ, একই উপজেলার ৫ নং চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের সহসভাপতি রুজেল আহমদ ইসলাম।
গোলাপগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক তাহমিদ হোসেন লেখেন, ‘যে ছাত্রলীগ মরলে ৯০% মানুষ আলহামদুলিল্লাহ বলে, সেই সংগঠনের একজন কর্মী থেকে আজকে বিদায় নিলাম…! ( আমি গোলাপগঞ্জ পৌর- ছাএলীগ এর উপ-দপ্তর সম্পাদক)।’
সিলেট মহানগরের ১৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফেরদৌস খান হিমেল লেখেন, ‘আমি ফেরদৌস খান হিমেল আমি ১৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। এই মূহুর্ত থেকে আমি উক্ত পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। আজকের পর থেকে আমি সংঘটনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি নিলাম। আমার বন্ধু বান্ধব এবং যারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, তারা আমার কথা গুলো ভালোভাবে নিবে না এটা আমি ভালো করে জানি। যদি কারো মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষমাপ্রার্থী।’
ধন্যবাদ।
রুজেল আহমদ ইসলাম লেখেন, ‘আমি রুজেল আহমদ (ইসলাম) ৫ নং চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন এর সহ-সভাপতি পদ থেকে নিজেকে বহিষ্কার ঘোষণা করলাম। আমি এমন কোনো সংগঠনের সাথে জড়িত থাকতে চাই না যার কারণে আমার বাবা-মাকে অসম্মানিত হতে হয় রাস্তাঘাটে। ইয়া আল্লাহ তুমি আমার ভাই-বোনদেরকে সুস্থ রেখ।’
সৈয়দ দিনুল আহমদ লেখেন, ‘আমি সৈয়দ দিনুল আহমদ ৭নং সৈয়দপুর শাহারপাড় ইউনিয়ন এর সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। যেই দল ছাত্র দের পাশে ধারাতে পারেনা সেই দলে আমি থাকতে চাই না। আমি নিজ ইচ্চায় ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করলাম। আমি এমন কোনো সংগঠনের সাথে জড়িত থাকতে চাই না যার কারণে আমার বাবা-মাকে অসম্মানিত হতে হয় রাস্তাঘাটে। কোন সুস্থ মস্তিষ্কের বৈধ সন্তান ছাত্রলীগ করতে পারে না।’
প্রসঙ্গত- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের অন্তত সারাদেশে অন্তত ১২৪ জন নেতাকর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বিভিন্ন সময় সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন পদত্যাগকারী নেতাকর্মীরা।