বিশেষ প্রতিনিধি::
কোটাবিরোধী আন্দোলনের কর্মীদের সঙ্গে ডুকে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে সুনামগঞ্জে ছাত্রশিবিরের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা আছে। এর মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত মো. সুমেল মিয়া কোটাসংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করতেন।
বুধবার ছাত্রশিবিরের হাসননগরস্থ ম্যাচ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি সুমেল মিয়া (কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক) ও সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ফারহান শাহরিয়ার ফাহিম। এছাড়াও ছাতকে সাইফ উদ্দিন নামের আরেক উপজেলা শিবির নেতাকে বুধবার ভোরে আটক করেছে ছাতক থানা পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সাঈদ সাংবাদিকদের হোয়াটসএপ গ্রুপে জানান, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি সুমেল মিয়া ও সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ফারহান শাহরিয়ার ফাহিমের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নাশকতার মামলা হয়েছিল। দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাও গ্রামের মঞ্জুর আলীর ছেলে ফারহান শাহরিয়ার ফাহিম ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার সলফ গ্রামের নূরুল হকের ছেলে সুমেল মিয়া দুজনই ছাত্রশিবিরের পদবীধারী নেতা। তারা হাসননগরে ইসলামিছাত্র শিবিরের ম্যাচে অবস্থান করে। তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনেরকর্মীদের সঙ্গে ডুকে নাশকতার চেষ্টা করছিল। এ কারণে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা আছে। একই গ্রুপে তিনি আবার জানান, ছাতক থানায় দায়েরকৃত বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার আসামি ছাতক উপজেলা ছাত্র শিবিরের নেতা মুক্তিরগাও গ্রামের হাজি উস্তার আলীর ছেলে সাইফ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার এম এন মোরশেদ বলেন, যে তিনজন শিবির নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের ভিতরে ডুকে নাশকতা করার চেষ্টা করেছিল। তারা লোক জমায়েত দিয়েছে। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা সেটা স্বীকারও করেছে। আন্দোলনে তাদের অনেক নেতাকর্মী ডুকে পড়েছে বলেও জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।