ছাতক প্রতিনিধি::
ছাতকে কোটা আন্দোলন ইস্যুতে সংঘর্ষ ও টায়ার পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশের মামলায় আত্মগোপনে রয়েছেন জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছেন পুলিশ বাহিনীর হাতে। গত ২০ জুলাই ১২ নং ছৈলা আফজলাবাদ ইউপির দিঘলী রামপুর গোবিন্দগঞ্জ সাদা পুলের পাশে সিলেট সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে সরকারি বেসরকারি সম্পাদ ক্ষতিসাধনের লক্ষে অবস্থান সহ অন্তঘাতমুলক কার্যে লিপ্ত থেকে সরকার পতনের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করার অপরাধে নাশকতামুলক ঘটনায় ছাতক থানার (এসআই) সিকান্দর আলী বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে অঞ্জাতনামা ৭০ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করেন। টায়ার পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন পুলিশ। এ ঘটনায় এখন একটি মামলা করেছে পুলিশ। যেগুলোতে আসামী করা হয়েছে জামায়াত, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের। এ মামলা দায়েরের পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে জামায়াত ও বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ১৯ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে এসব রাজনৈতিক দলের কোন নেতাকে শহরে দেখা যায়নি। একই সাথে মামলায় অজ্ঞাত আসামী থাকায় কর্মীরা অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলার আসামীদের নাম প্রকাশ করেত চায়নি পুলিশ। তবে একটি সূত্র বলছে, আসামীদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন। এছাড়াও জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসবেকদলের শীর্ষ নেতারা রয়েছেন। গত বোরবার দুপুরে ছাতক উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয় গিয়ে তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া পুরো এলাকাজুড়ে অনেকটা নিরবতা লক্ষ্য করা যায়। এ বিষয়ে জানতে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি। জেলা বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না শর্তে বলেন ‘আমাদের নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় পুলিশ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। যে কারণে গ্রেপ্তার এড়াতে নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে আছেন। অনেক নেতাকর্মীকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’ এব্যাপারে থানার ওসি শাহ আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে অনেক রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা নাশকতা চালিয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা থানায় দাায়ের করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে কয়েকজন শিবির ক্যাডারকে গ্রেপ্তারও করেছি। বাকিদেরও গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলামান রয়েছে।