হাওর ডেস্ক::
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত ৩৪ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ও নগদ অর্থ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৮ জুলাই) সকালে গণভবনে রংপুরে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবারসহ ৩৪ জনের পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাদের হাতে অনুদান তুলে দেন সরকারপ্রধান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজ-খবর নেন। অনেকে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রীর চোখেও তখন অশ্রু দেখা যায়।
এ সময় গণভবনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা চলতি মাসের শুরুর দিন থেকে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। এই আন্দোলন সহিংস রূপ নেয় ১৬ জুলাই, এদিন নিহত হন ছয়জন। পরের কয়েক দিনে এই আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক সহিংসতা ও নাশকতার রূপ ধারণ করে। এই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই ছাত্র। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার।
আন্দোলন চরম আকার ধারণ করলে সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। দেশে গত ১৮ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ ছিল। পরে সীমিত পরিসরে চালু হলেও ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। আজ বিকেলে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে।
এছাড়া গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। ২১ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে কারফিউ থাকলেও পরে তা আস্তে আস্তে শিথিল করা হয়। ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় এখনো কারফিউ অব্যাহত আছে। পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে।