স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের দোয়রাবাজারা উপজেলার পল্লীতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে এক বিএনপি নেতাসহ দুই জন নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত আরো ১০ জন। নিহতরা হলেন গোরেশপুর গ্রামের উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেরুজ্জামান ও বেরীগাও গ্রামের এবাদুল্লাহ। শনিবার দুপুরে উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের গোরেশপুর ও বেরিগাও গ্রামবাসীর মধ্যে পৃথক সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার গোরেশপুর গ্রামের বিএনপি নেতা শেরুজ্জামান ও বেরী গ্রামের মাসুক মিয়ার পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। গত রমজান মাসে এই বিরোধের জের ধরে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গোরেশপুর গ্রামের ছয়ফুল ইসলাম নামের একজন যুবকের দাত ভেঙ্গে দেয় বেরীগাঁও গ্রামের একদল যুবক। প্রতিশোধ নিতে বেরীগাঁও গ্রামের কাওসার নামের এক যুবককে পিটিয়ে আহত করে গোরেশপুরের লোকজন। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে চৌমুনা পয়েন্টে বিএনপি নেতা সেরুজ্জামানকে রামদা দিয়ে কুপায় বেরীগাঁও গ্রামের কয়েকজন যুবক। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় শেরুজ্জামানের। এদিকে শেরুজ্জামানের মৃত্যুর খবর গ্রামে আসার পর উত্তেজিত হয়ে ওঠেন তার স্বজন ও সমর্থকরা। তারা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেরীগাঁওয়ের লোকজনদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে বেরীগাও গ্রামের ফয়জুল্লার ছেলে এবাদুল্লাহ এবাদুল্লাহ ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন আরও ১০ জন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, আমি সুনামগঞ্জে সভায় ছিলাম। খবর পাবার পর ঘটনাস্থলেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।