রাজন চন্দ, তাহিরপুর:
তাহিরপুরে সোয়েব মিয়া (৩০) নামে নববিবাহিত এক যুবকের লাশ হাত, পা ও মুখ বাধা অবস্থায় উদ্ধার করেছ স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী। উদ্ধারকৃত যুবক তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুস শহীদের পঞ্চম পুত্র।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উদ্ধারকৃত যুবকের বাড়ির পিছনে মরা নদী থেকে জাল দিয়ে খুঁজে তার লাশ উদ্বার করা হয়। পেশায় কৃষক সোয়েব মিয়ার বাসর রাত ছিল গতকাল সোমবার।
পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, রবিবার একই গ্রামের আব্দুন নুরের মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সোমবার ছিল বৌভাত। রাতে ছিল বাসর। বাসরঘরে যাবার আগেই ধারণা করা হচ্ছে দুষ্কৃতিকারীরা কৌশলে বাসরঘর থেকে বের করে এনে নির্মমভাবে খুন করে নদীতে লাশ ফেলে দিয়েছে। জানা গেছে পাত্রীকে পছন্দ করেই তিনি বিয়ে করে। আজ সকালে বাড়িতে থাকে না পেয়ে বাড়ির পিছনে মরা নদীর ঘাটে সোয়েবের পায়ের স্যান্ডেল দেখতে পায় স্বজনরা। এ ঘটনায় সন্দেহবশত নদীতে জাল দিয়ে খুঁজে তার লাশ নদীর পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় মুখ কাপড় দিয়ে আর হাত ও পা খুব শক্ত করে রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নন্দনকান্তি ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হতে পারে।
এ দিকে যুবকের লাশ ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ খান।