।। বিশ্বজিত রায় ।।
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর জননেত্রীর জন্মদিন। অর্থাৎ মানবতার জননী, পিতৃ আদর্শে বিশ্বাসী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, ধৈর্য-সাহসের প্রতিরূপ, কৃষকবন্ধু, মমতাময়ী দেশরতœ শেখ হাসিনার জন্মদিন। যিনি মহাপ্রলয় ভেদ করে দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন সাফল্যের সর্বোচ্চ চূড়ায়। জয়তু শেখ হাসিনা, জয়তু জন্মদিন। বিধাতার কাছে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করছি। ধন্যবাদ ¯্রষ্টা। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তোমার অলৌকিক গুণাবলীতে। তুমি বারবার মৃত্যুর কোপ থেকে বাঁচিয়ে এনেছ বঙ্গবন্ধু তনয়াকে। ষোল কোটি বাঙালির স্বপ্ন-সাধকে জিইয়ে রেখেছ তুমি। সবই তোমার অপার মহিমা। সৃষ্টিকর্তা তুমি পরম দয়ালু। তোমার দয়া-মায়ায় বাঁচিয়ে রেখ এই কীর্তিমতি নারীকে। তাঁকে যে বাঁচতেই হবে। বাঁচতে হবে পিতার স্বপ্ন, বাঙালি-বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও উন্নয়নমুখী পদক্ষেপ এবং সন্ত্রাস দমনসহ নানাবিধ অর্জন বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে আলাদা পরিচিতি এনে দিয়েছে। প্রশংসার ঘুড়ি পতপত করে উড়ছে বাংলার আকাশে। তাঁর নেতৃত্বের সুমধুর ছন্দ শ্রোতা বানিয়েছে বিশ্বনেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে। আর আওয়ামী বিরোধি শক্তি ও তার পক্ষাবলম্বনকারী বুদ্ধিজীবীদের হৃদয় গহীনে সৃষ্টি করেছে একটা বাড়তি ক্ষত। বাংলাদেশের গগনচুম্বী সাফল্য দেখে মনে নানা প্রশ্ন উঁকি মারছে। নেতৃত্ব আসলে কি? জানতে ইচ্ছে করছে নেতৃত্বের চরিত্র কেমন। নেতৃত্ব গুণ কিভাবে ফুটে ওঠে? ইত্যাদি, ইত্যাদি।
এবার নেতৃত্ব নিয়ে ভাবতে হয়। লিঙ্কন ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক এন মেরি ই. ম্যাকসোয়েনের মতে, ‘নেতৃত্ব আসলে ক্ষমতা; নেতাদের শোনার ও পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা, সব স্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আলোচনা শুরু করায় উৎসাহদানের জন্য নিজেদের দক্ষতাকে কাজে লাগানোর ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছতাকে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষমতা, জোর করে চাপিয়ে না দিয়ে নিজেদের মূল্যবোধ ও দূরদর্শিতাকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করার ক্ষমতা। নেতৃত্ব মানে শুধুই সভায় আলোচ্য বিষয়সূচির প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখানো নয়, নিজে সেই কর্মসূচি স্থির করা, সমস্যা চিহ্নিত করা এবং শুধুই পরিবর্তনের সঙ্গে সামাল দিয়ে না চলে নিজেই এমন পরিবর্তনের সূচনা করা, যা উল্লেখযোগ্য উন্নতির পথ প্রশস্ত করে।’ কেন অগবন্নিয়ার কথায়Ñ ‘প্রাতিষ্ঠানিক বা সামাজিক লক্ষে পৌঁছানোর জন্য অন্তর্বর্তী ও বাহ্যিক পরিবেশে প্রাপ্ত সম্পদকে সফলভাবে সমন্বয় সাধন করা ও তা থেকে সর্বাধিক লাভ তোলার ক্ষমতাই হল কার্যকরী নেতৃত্ব।’ একজন কার্যকর নেতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে অগবন্নিয়া বলেনÑ ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে যে ব্যক্তি ধারাবাহিকভাবে সফল হওয়ার ক্ষমতা রাখেন এবং কোনো সংস্থা বা সমাজের প্রত্যাশা পূরণকারী হিসেবে স্বীকৃতি পান, তিনিই কার্যকর নেতা।’ [সূত্র : উইকিপিডিয়া]
নিরল নেতৃত্বের ক্ষমতাধর নারী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি জাতির জনকের কন্যা। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি বড়। সরকারি ইডেন কলেজে ছাত্রী থাকাকালে তিনি ১৯৬৬ সালে ছাত্রী সংসদের সহ সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয় তখন শেখ হাসিনা ও বোন শেখ রেহানা জার্মানিতে ছিলেন। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে হত্যা করার সব ধরনের চেষ্টা করেছিল খুনীচক্র। এমতাবস্থায় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের মাত্র পাঁচ দিন পর জার্মানি থেকে দিল্লিতে আসেন এবং দীর্ঘ ছয় বছর তিনি সেখানেই ছিলেন।
মৃত্যুঝুঁকি মাথায় নিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। বিমান থেকে নেমেই দেশের মাটিতে চুমু খান। সে সময়ের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক যখন তাকে মালা পরিয়ে অভিবাদন জানান তখন শেখ হাসিনা ঢুকরে কেঁদে ওঠেন। ১৯৮১ সালের সেই দিনটিতে বাংলাদেশে একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছিল। ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। হাসিনা তাঁর প্রথম বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলার জনগণের পাশে থাকার জন্য আমি এসেছি এবং মুক্তির সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য এসেছি, আমি আওয়ামী লীগের নেতা হবার জন্য আসিনি। আমি আপনাদের বোন হিসেবে, কন্যা হিসেবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে দাঁড়াতে চাই।’ লাখো মানুষের ভালোবাসায় যেমন সিক্ত হয়েছিলেন সেদিন তেমনি চোখের জলে ভেসেছিল তার শূন্য বুক। পিতা-মাতা, ভাই-ভ্রাতৃবধূ, আত্মীয়-স্বজন হারানোর বেদনা চাপিয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণ এবং পিতৃস্বপ্ন বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শেখ হাসিনা এগিয়ে চলেছেন সবল গতিতে।
দেশে ফিরে হাল ধরেন আওয়ামী লীগের। সুযোগ্য নেতৃত্ব ও সঠিক দিক নির্দেশনায় দেশে ফেরার ১৫ বছরের মাথায় আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হন এই সাহসী নারীনেত্রী। পাঁচ বছর দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সরকার পরিচালনা করে দেশকে নিয়ে যান উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে। এরপর আবারো ষড়যন্ত্র। পাঁচ বছরের অপেক্ষা। দেশবাসীর বিশ্বাসের প্রতিদান স্বরূপ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ তিন-চতুর্থাংশ আসনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলে আবারো প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচারসহ যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের কাজে হাত দেন। শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা। সবকিছু উড়িয়ে দিয়ে চলতে থাকেন দৃঢ়চিত্তে।
শেখ হাসিনার সততা, দেশপ্রেম, নেতৃত্বের দৃঢ়তা, সাহসিকতা, আদর্শের প্রতি একনিষ্ঠতা ও অঙ্গীকার পালনে সাধারণ মানুষসহ বিশ্ববাসীকে আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়। ১৯৯৬ সালে ভারতের সাথে ৩০ বছরমেয়াদি গঙ্গার পানি বণ্টনচুক্তি এবং শান্তিবাহিনীর সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি সম্পাদন ও দারিদ্র্য বিমোচনে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার সাফল্য অর্জনের প্রথম ধাপ অতিক্রম করে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসলে আবারো শুরু উন্নয়ন যাত্রা। মানুষের গড় আয়ু, পানির ব্যবহার, বিদ্যুতের ব্যবহার, টয়লেট সুবিধা, নির্ভরশীলতার অনুপাত, শিক্ষার হার, শিশুমৃত্যুর হার, মাতৃমৃত্যুর হার, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার এবং স্থূল প্রতিবন্ধকতা এই দশটি সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ অর্জন করে অভাবনীয় সাফল্য। সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাফল্যের সঙ্গেই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।
কঠিন পরীক্ষায় প্রতিবার উত্তীর্ণ হয়েছেন শেখ হাসিনা। নিজের মেধা ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে সকল সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের বন্যা পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল, ভয়াবহ জঙ্গী তৎপরতা- এই তিন দুর্যোগ মোকাবেলায় সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বের সুফল ভোগ করছে বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগ। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, সংকটের বেড়াজালে বিশ্ব মোড়লরা যখন হিমশিম খাচ্ছেন, তখন সংকট মোকাবিলায় সফল নেতৃত্বে শেখ হাসিনা। বিগত দশকে দেশের প্রাকৃতিক কিংবা মনুষ্য সৃষ্ট অথবা রাজনৈতিক সব সংকট সামনে থেকে সামলেছেন তিনি। নেতৃত্বের বিশালত্বকে নিয়ে গেছেন দেশের গ-ির বাইরে। ১/১১’র মতো রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধারাবাহিক সংকটে পড়ে আওয়ামী লীগ। বিডিআর বিদ্রোহ থেকে সর্বশেষ রোহিঙ্গা ইস্যু- সব সংকট মোকাবিলায় সফল হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। [সূত্র : মানবকণ্ঠ, ১৫.০৯.১৭]
বঙ্গবন্ধু তনয়ার প্রধানমন্ত্রীত্বে বাংলাদেশের আচমকা জেগে ওঠা কোনো রূপকথার গল্প নয়। চোখের সামনে সব পরিস্কার দৃশ্যমান। ২০০৯-২০১৩ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলোর মাঝে আছে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৩ হাজার ২৬০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, গড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন। ৫ কোটি মানুষকে মধ্যবিত্তে উন্নীতকরণ। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে জলসীমা চুক্তির বিরোধের নিষ্পত্তি। প্রতি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ। কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড। ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন। এ ছাড়া ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে নি¤œমধ্য আয়ের দেশে উন্নীতকরণ। ভারতের পার্লামেন্ট কর্তৃক স্থলসীমা চুক্তির অনুমোদন এবং দুই দেশের মধ্যে ৬৮ বছরের সীমানা বিরোধের অবসান। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩১৪ ডলারে উন্নীতকরণ ও দারিদ্র্যের হার ২২.৪ শতাংশে হ্রাস। ২৫ বিলিয়ন ডলারের ওপর বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ। পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন শুরুর মতো নানা সাফল্য যুক্ত হয়েছে তার নেতৃত্বেই। অন্যদিকে লিঙ্গসমতা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমানোর সূচকে শেখ হাসিনার সাফল্যে বিশ্ব রীতিমতো বিস্মিত। যার স্বীকৃতিস্বরূপ সাউথ সাউথ পুরস্কার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পেয়েছেন ইউএনএমডিজি পুরস্কারও। জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ও পেয়েছেন তিনি। অবশ্য শুধু এসবই নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২৭টি পুরস্কার ও পদক অর্জন করেছেন। শুধু পুরস্কারপ্রাপ্তিতেই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতার কথা এখন বিশ্বনেতারা জানতে চান বিভিন্ন ফোরামে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এমন পরিচিতি বাংলাদেশের আর কোনো নেতা পাননি। [সূত্র : বা.প্র. ০৮.১১.১৬]
সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা মনে হয় শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বঙ্গজননীর মান রক্ষা এবং তার সন্তানদের কল্যাণ ও দেশকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্যই। তা না হলে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পরও তিনি কেন বেঁচে থাকবেন। এটা নিঃসন্দেহে ¯্রষ্টার অলৌকিক গুণের বহিঃপ্রকাশ। পিতার স্বপ্নসারথি হয়ে বেঁচে আছেন তিনি। বিশ্ব বিবেচনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ রুল মডেল। উপরের একটি অনুচ্ছেদে নেতৃত্বের যে সংজ্ঞা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, সেখানে বঙ্গবন্ধু তনয়ার নেতৃত্ব, নেতা ও চারিত্রিক গুণাবলীর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি নিজ মহিমায় উদ্ভাসিত।
সর্বস্ব হারানোর নিদারুণ শোক বুকে বয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করা এই কীর্তিমতি কামিনী জয় করেছেন বিশ্বকে। বহুল প্রতীক্ষিত বহু কাজের সফল বাস্তবায়ন এবং বাস্তবায়নাধীন কর্মকান্ডে রেখেছেন সোনালী স্বাক্ষর। যোগ্যতা, দক্ষতা, একাগ্রতা, বিচক্ষণতা, সততা, নিষ্ঠা, নেতৃত্ব ও সাহসিকতায় এগিয়ে শেখ হাসিনা রোল মডেল বাংলাদেশের ডিজিটাল কারিগর। তিনি বহির্বিশ্বকে দেখিয়ে দিলেন পিছিয়ে পড়া একটি রাষ্ট্রকে কিভাবে টেনে তুলে দাঁড় করাতে হয়। দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় ছাড়াও বৈশ্বিক নানা সঙ্কট সমাধানে কিভাবে সফলতা অর্জন করতে হয়। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে দেশীয় দৈত্য-দানবের প্রাণনাশী চক্রান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কিভাবে বাঙালি জাতির গায়ে অগ্রগতির অহংবোধসম্পন্ন শ্বেতকায় উত্তরীয় সযতনে পড়িয়ে দেওয়ার জ্বলন্ত উদাহরণ সৃষ্টি করা যায়। শুধু তাই নয়, মানবতার মহান তরীতে চালকের আসনে বসে সগৌরবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন এই মহীয়সী নারী।
লেখক: বিশ্বজিত রায়, কলামিস্ট।