স্টাফ রিপোর্টার::
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা সর্বজনীন রূপ নিয়েছে বহু আগেই। আজ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পূজার মহানবমী। আর মাত্র এক দিন পরেই মর্ত্য ছেড়ে কৈলাশে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। তাই বিসর্জনের সুর ভাজছে ভক্তমনে। তবে নবমী উপলক্ষে আরতি নৃত্যের প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে বিভিন্ন ম-পে।
দশভুজা দুর্গার আরাধনার পাশাপাশি দেবীকে বিদায় জানানোর আয়োজনে ভক্তকুল থাকবেন বিষন্ন।
ভক্তি আর শ্রদ্ধায় বিভিন্ন পূজা মন্ডপে আরতি, অঞ্জলি প্রদান ও প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে নবমী পূজা। সুনামগঞ্জ জেলায় এবার তিন শতাধিক ম-পে দুর্গা পূজা সম্পন্ন হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নির্বিঘেœ সম্পন্ন করেছেন পূজারিরা। আরতির নৃত্যে সপ্তমির দিন থেকেই তারা মুখর করে রাখছেন ম-প।
নবমীর দিনে মন্ডপে মন্ডপে প্রধান আকর্ষণ থাকবে আরতি প্রতিযোগিতা। রাতকে উজ্জ্বল করে ভক্তরা মেতে উঠবেন নানা ঢঙে আরতি নিবেদনে। একই সঙ্গে দিনভর চলবে চন্ডীপাঠ। থাকবে ভক্তদের কীর্তনবন্দনা।
শ্রী শ্রী দুর্গা দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ স্থাপন অষ্টম্যাদি কল্পারম্ভের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে অষ্টমী পূজা।
এদিকে নবমীর দিনে আনন্দ আয়োজনে অংশ নিতে মন্ডপে মন্ডপে পূজারীদের ভীড় ছিল লক্ষনীয়। দুর্গাদেবীকে দর্শন করার জন্য পূণ্যার্থীরা মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভক্তরা মায়ের চরনে অঞ্জলী প্রদানও করছেন।
ঢাক ঢোল ও শঙ্খ বাজিয়ে চলছে উলদ্ধনি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজাকে ঘিরে সমগ্র সিলেট যেন পরিণত হয়েছে উৎসবে নগরীতে।
শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের ভক্তদের উপস্থিতি দেখা যায় মন্ডপ গুলোতে। তবে মন্ডপগুলোতে আজ নারী ও কিশোরীদের বেশি উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
এদিকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সুনামগঞ্জে নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
সুনামগঞ্জের সহকারি পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ বলেন, কড়া নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে প্রতিটি ম-পে। সুনামগঞ্জ জেলার সর্বত্রই শারদীয় দুর্গোৎসব মহাউৎসবে পালিত হচ্ছে। সম্প্রীতির এই উৎসব নির্বিগ্নেই সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।