অনলাইন::
সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের রাস্থা প্রশস্তকরণ কাজ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২ টায় উইমেন্স মেডিকেল কলেজের সভাকক্ষে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এ সময় কর্তৃপক্ষ সড়ক প্রশস্থ করার জন্য মেয়রকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কলেজের সভাকক্ষে ঘন্টাখানেক বৈঠকের পর মেয়রকে নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মূল ফটকের কাছে যান। তারা সড়ক প্রশস্ত করার জন্য কাজ শুরু করার আহবান জানালে মেয়র হাতুড়ি দিয়ে দেওয়াল ভাঙ্গার কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন হাততালি দিয়ে সাধূবাদ জানান।
সিসিক সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় গত কয়েকমাস ধরে নগরীর নয়াসড়ক থেকে চৌহাট্টা সড়কের প্রশস্থ করার কাজ শুরু হয়। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়ির মালিক সড়কের জন্য ৬ ফুট জমি ছাড়ার জন্য রাজি হন। সকলের সঙ্গে আলোচনার পর পরই কয়েক মাস আগে শুরু হয় সড়ক প্রশস্থকরণ করার কাজ।
গত ১৭ জুলাই সড়ক প্রশস্থকরণ নিয়ে মেয়রের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। পরে এনিয়ে দু’পক্ষের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। রাতেই দু’পক্ষ বৈঠকে বসেন। সে সময় বিরোধের কিছুটা নিষ্পত্তি হয়। সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সড়ক প্রশস্ত করার জন্য জমি ছেড়ে দিলে এলাকার লোকজন সাধুবাদ জানান।
এ সময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, নগরীর উন্নয়নে যেভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড় দেওয়ার মনোভাব দেখিয়েছে এটি সবার মনে পোষণ করতে হবে। নগরীর উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। এভাবে সকলে সহযোগিতা করলে সিলেট নগরী একদিন তিলোত্তমা নগরী হয়ে ওঠবে। উন্নয়ন কোনভাবেই দমিয়ে রাখা যাবেনা। সিলেট হবে একটি আদর্শ নগরী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা বশির আহমদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. শাহ আব্দুল আহাদ, মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. ফজলুর রহমান কায়সার, শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর আব্দুল মতিন, কোম্পানীর পরিচালক ফখরুল ইসলাম, এমদাদ হোসেন চৌধুরীও আব্দুল বারী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর রাজিক মিয়া, আব্দুল মুহিত জাবেদ, প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, আলী আকবর, ইসমাইল আহমদ, সাব্বির আহমদ চৌধুরী প্রমূখ।