স্টাফ রিপোর্টার, জামালগঞ্জ।
জামালগঞ্জে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ মারদাঙ্গার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। জামালগঞ্জ উত্তর ে দক্ষিণ ইউনিয়নের বাইচালরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ, প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্থক্ষেপে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। তবে উৎসবে অংশ নেওয়া চারটি নৌকার দুটি মারদাঙ্গায় জড়ানোয় আয়োজকরা উৎসবে তাদের অংশগ্রহণ বাতিল করেন।
জানা গেছে মঙ্গলবার বিকালে জামালগঞ্জ উপজেলার সুরমা নদীতে নৌকা বাইচের আয়োজন করে। উৎসবে চার ইউনিয়নের মাত্র চারটি নৌকা অংশ নেয়। তবে সাধারণ মানুষ ঢাক-ঢোল আর করতালের তালে তালে সুরের মুর্ছনায় অংশ নিয়েছিলেন।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জামালগঞ্জ সুরমা নদীতে মঙ্গলবার ১ম আন্ত ইউনিয়ননামে এই নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। মারদাঙ্গা হলেও নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শেষে পুরুস্কার বিতরনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আল ইমরানের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার ভুমি মনিরুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো.সাবিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান। নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান হাফিজা আক্তার দিপু,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন,উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী,সাধারণ সম্পাদক এম নবী হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. সাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকী, উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার,অফিসার ইনচার্জ আবৃল হাশেম,সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, করুনা সিন্ধু তালুকদার, মো.রজব আলী, মো.দুলাল মিয়া, সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার সাজিব, অসিম কুমার তালুকদার প্রমূখ।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় বিজয়ী সাচনাবাজার ইউনিয়ন ও রার্নাস আপ ফেনারবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের হাতে বিজয়ী ও রার্নাসআপ দলকে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো: সাবিরুল ইসলাম।