স্টাফ রিপোর্টার::
সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের কেচ্ছাশিল্পী মো. ফরিদ মিয়া (৫০) আর নেই। মঙ্গলবার সকালে তিনি দূরারোগ্য রোগে ভোগে নিজ বাড়িতে মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে মারা যান। বিকেলে মোহনপুর গোরস্তানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
ফরিদ মিয়া টানা দুই দশক সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় কেচ্ছা পরিবেশন করতেন। মধ্যযুগের প্রণয়োপাখ্যান নিয়ে রচিত কাহিনীগুলো সুরে-ছন্দে ও নৃত্যের তালে তিনি পরিবেশন করতেন। রাতে তার আসরে হাজার মানুষ উপস্থিত হতো। তিনি সুনামগঞ্জের পল্লী এলাকা ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে কেচ্ছা পরিবেশন করেছেন। প্রথমে তিনি প্রয়াত প্রখ্যাত কেচ্ছাশিল্পি সুরুজ আলীর সঙ্গে কেচ্ছা পরিবেশন করলেও শেষে নিজেই সঙ্গীদের নিয়ে আসর মাতাতেন। গত কয়েক বছর ধরে তিনি কেচ্ছা ছেড়ে দিয়ে শহরের গুলবাগ আবাসিক হোটেলে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। কয়েক মাস আগে দূরারোগ্য রোগ দেখা দিলে তিনি বাড়িতে চলে যান। সেখানেই শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃতুতে স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা শোক প্রকাশ করেছেন।