বিশেষ প্রতিনিধি::
অব্যাহত পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে বিভিন্ন উপজেলার প্রধান সড়ক ও আভ্যন্তরিণ রাস্তাঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ জনপদ পানিতে তলিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে প্রায় ২ শতাধিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার দোয়ারাবাজার উপজেলার সবকটি (২৬টি) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। পানি না সরলে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করা যাবেনা বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে সুনামগঞ্জ জেলায় গতকাল সোমবার পর্যন্ত প্রায় ১৬২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। তবে বেসরকারি হিসেবে পরিমাণ আরো বেশি বলে স্থানীয়রা জানান। এদিকে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে গতকাল দোয়রাবাজার উপজেলার ২৬টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়-মাদ্রাসার সবকটিই বন্ধ ছিল। কোনটিতেই ক্লাস হয়নি। এছাড়া তাহিরপুর ৫টি এবং ছাতকে আরো একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন বন্ধ হওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা আরো বেশি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন প্লাবিত হওয়ার কারণেই এসব বিদ্যালয় গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে বিদ্যালয় গুলোতে এখনো পানি ঢুকেনি সেগুলোর রাস্তাঘাট ও চার পাশ ডুবে আছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে গতকাল সোমবার আরো ৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে। এর দুইদিন আগে আরো ৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এ নিয়ে ১৬২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলার ১২টি, দোয়ারাবাজারে ৮টি, বিশ্বম্ভরপুরে ২০টি, ছাতকে ১০টি, তাহিরপুরে ১২টি, জামালগঞ্জে ৬টি, ধর্মপাশায় ৫০টি, দিরাইয়ে ২টি, জগন্নাথপুরে ১৫টি এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হযরত আলী বলেন, গতকাল পর্যন্ত ১৬২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে। আরো বেশ কিছু বিদ্যালয়ের রাস্তাঘাট ও আশপাশ প্লাবিত হওয়ায় সেখানেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, গতকাল দোয়ারাবাজারের সবকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এছাড়াও ছাতক ও তাহিরপুরেও আরো কয়েকটি বিদ্যালয়সহ জেলায় ৩৩টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে।