সিলেট প্রতিনিধি::
আগামীকাল শনিবার সিলেটে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। প্রথম চার আসরে উপেক্ষিত সিলেটের মাটিতেই এবার পর্দা উঠবে দেশীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে জমকালো আসরের। বিপিএলকে ঘিরে তাই সিলেটে আলাদা উন্মাদনা। টিকেট নিয়ে কাড়াকাড়ি। বিপিএলের প্রায় সবগুলো দল সিলেট এসে পৌছেছে। টিম বাসগুলোর নগরের ভেতরে ছুটাছুটি, টিকেটের জন্য হাহাকার, নগরে প্রবেশের সবগুলো সেতু-বিমানবন্দর সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর আলোকসজ্জা, রংবেরংয়ের ব্যানার-ফেস্টুন আর তোরণগুলো যেন জানান দিচ্ছে, বিপিএলকে স্বাগত জানাতে পুরোপুরি প্রস্তুত সিলেট।
সিলেটের রাস্তায় নামলেই এখন একটি বাক্য আপনার কানে বাজবেই, ‘ও ভাই টিকেট খেমনে (কেমনে) পাইতাম কউক্কা চাইন (বলেন তো)।’ সিলেটের মাটিতে প্রথমবার বসেছে বিপিএলের আসর, মাঠে বসে সে ঘটনার স্বাক্ষী হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না যেন কেউই। টিকেটের জন্য তাই প্রতিদিন সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ঘটে ‘লঙ্কাকাণ্ড’।
বিপিএলের আসর সিলেটে হওয়ায় কিছুটা দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে সিলেটের মানুষকে। টিম বাসগুলো হোটেল ও স্টেডিয়ামে যাওয়া আসার সময় সংশ্লিষ্ট রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এজন্য যানজটে পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। কিন্তু সেই দুর্ভোগ হাসিমুখে মেনে নিচ্ছেন তারা। গতকাল দুপুর বারোটার কিছু আগে আম্বরখানা এলাকা থেকে দরগা গেইট পর্যন্ত রাস্তার যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। যানজটে আটকে থাকা মানুষগুলো চোখেমুখে বিরক্তি স্পষ্ট। বিমানবন্দর সড়ক দিয়ে আম্বরখানা হয়ে আসা রংপুর রাইডার্সের টিমবাস দরগাগেইটে নিজেদের হোটেলে এসে ঢুকে। টিমবাস দেখেই রিকশা ও গাড়িতে বসে থাকা যাত্রীদের মানুষগুলোর চোখমুখ থেকে বিরক্তিভাব মুহুর্তে উবে গেলো। তার বদলে কেউ কেউ চিৎকার করে বললেন, ‘রংপুর রাইডার্স, রংপুর রাইডার্স।’ এমনই বলে দেয় বিপিএল জ্বরে আক্রান্ত পুরো সিলেট।
বিপিএলকে সামনে রেখে এরই মধ্যে প্রায় সবগুলো দল সিলেটে এসে পৌঁছেছে। সবার আগে সিলেট আসে স্বাগতিক দল সিলেট সিক্সার্স। সিলেট এসে তারা ২৭ অক্টোবর থেকে অনুশীলনে নেমে পড়ে। এর পরপরই আসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, রাজশাহী কিংস, ঢাকা ডায়নামাইটস। গত বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটে আসে রংপুর রাইডার্স দুপুরের দিকে আসে খুলনা টাইটানস। সর্বশেষ দল হিসেবে চিটাগাং ভাইকিংস আসবে আগামীকাল শনিবার।
দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ক্রিড়াযজ্ঞ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এখন ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন সিলেট ক্রিকেটের কর্তাব্যক্তিরা। সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। মাঠ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নিরাপত্তাসহ সামগ্রিক বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছি। তারা আমাদের সবধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’জেল হত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে জগলুলকে মনোনয়ন প্রদানের দাবি জানালেন নেতাকর্মীরা।