স্টাফ রিপোর্টার::
জালিয়াতি করে সুনামগঞ্জ জেলা জজ আদালতের হিসাব শাখা থেকে অগ্রক্রয় মামলার প্রায় ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দুই আইনজীবী ও আদালতের হিসাবরক্ষক ঘেনু চন্দ্র রায়কে রবিবারে আটক করার পর সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. রেজাউল করিম ও জামালগঞ্জ সহকারি জজ আদালতের হিসাবরক্ষক ঘেণু চন্দ্র রায়।
জেলা জজ আদালতের হিসাব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিবিধ অগ্রক্রয় মামলা ০৭/২০০৭ সোলেসূত্রে নিস্পত্তি হয়। মামলাটি নিস্পত্তির পর প্রতিপক্ষের আইনজীবী আলী আহমদ মূল আদালতে দরখাস্তেরর সঙ্গে পেমেন্ট অর্ডার দাখিল করার পর হিসাব শাখায় প্রেরণ করা হয়। হিসাব শাখায় পেমেন্ট অর্ডার যাবার পর পেমেন্ট অর্ডার রেজিস্টার পর্যালোচনায় দেখা যায় অগ্রক্রয়ের মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় অ্যাড. মাজাহারুল ইসলাম নামের আইনজীবী হিসাব শাখা থেকে চার লাখ ২০ হাজার টাকার চেক উত্তোলন করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন। একই পন্থায় বিবিধ অগ্রক্রয় মামলা নম্বর ১৬/২০০৯’এর তিন লাখ ২৪ হাজার ৭৫০ টাকা, ০৩/২০১৩ নম্বর মামলার তিন লাখ ৮১ হাজার ৮২৫ টাকা, ৪১/২০০৫’এর দুই লাখ ১৩ হাজার ৪০০ টাকা এবং ০৯/২০০৭’এর চার লাখ ২০ হাজার টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয় এবং অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলামের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে নগদায়ন হয়। আরেকটি বিবিধ অগ্রক্রয় মামলা ২২/২০১২’এর দুই লাখ ৩১ হাজার টাকা একই কায়দায় আইনজীবী মোহাম্মদ রেজাউল করিম’র ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে নগদায়ন হয়। অগ্রক্রয় মামলায় আদালতে দাখিলকৃত এই টাকা উত্তোলনে আদালতের হিসাবরক্ষক ঘেনু চন্দ্র রায়, অবসরপ্রাপ্ত জারিকারক মো. আব্দুছ ছোবহান, সহকারি হিসাব রক্ষক সঞ্জীব বর্মণ ও ওই দুই আইনজীবী জড়িত বলে আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে। জালিয়াতির এই ঘটনায় গত ২ নভেম্বর নোটিশ পাঠান। রবিবার বিকেলে তাদের আটক করে পুলিশ।
জেলা দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, অগ্রক্রয় মামলায় টাকা জালিয়াতি করে উত্তোলনের ঘটনায় দুই আইনজীবী ও আদালতের এক কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। এর সঙ্গে আরো কারা জড়িত আছে তাদের খুজে বের করার কাজ চলছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শায়খ আহমদ বলেন, আমরা এ ঘটনায় আদালতকে তদন্ত কাজে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সুষ্টু তদন্তে প্রকৃত দোষীরা বেড়িয়ে আসুক এটা আমরা চাই।