বছরের অন্য সময়ের থেকে শীতকালে অনেক বেশি রকমের ফল ও সব্জি পাওয়া যায়। সেরকমই একটা সব্জি হলো মুলা।
বছরের অন্য সময় এই সব্জি পাওয়া গেলেও শীতকালেই এই সব্জি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়। মুলা দিয়ে বিভিন্ন তরকারি তো হয়ই একই সঙ্গে এই সব্জি কাঁচাও খাওয়া যায়। আজকে রইলো মুলোর হরেক উপকারিতা।
জনডিশের ট্রিটমেন্টে কাজে আসে : পেট আর লিভারের জন্য মুলাখুব উপকারী। কারণ এটা ডি টক্সিফায়ারের কাজ করে যা রক্ত পরিষ্কার রাখে। জনডিশ সারিয়ে তুলতে মুলোর জুড়ি মেলা ভার। জনডিশ হলে শরীরে বিলিরুবিন বেড়ে যায়‚ মুলাবিলিরুবিনের বৃদ্ধি রোধ করে। এছাড়াও জনডিশ হলে রেড ব্লাড সেলের ক্ষতি হয়। মুলা খাওয়ার ফলে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং রেড ব্লাড সেলের ক্ষতি আটকায়।
মুলা শাকও খুব উপকারী জনডিশ সারানোর জন্য।
পাইলস হতে দেয় না : মুলোকে রাফেজ বলা হয় যার মানে হলো এর মধ্যে ইনডাইজেস্টবেল কার্বোহাইড্রেট থাকে। এর ফলে হজম ঠিক মতো হয়‚ শরীরে পানির মাত্রা ঠিক থাকে এবং কস্টিপেশন হতে দেয় না। সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে পাইলস হয়। মুলার রস শরীরের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম আর এক্সক্রিটারি সিস্টেমকে পরিষ্কার এবং ঠিক রাখার চেষ্টা করে।
ইউরিনারি ডিস অর্ডার সারিয়ে তোলে : মুলাখেলে শরীরে ইউরিন প্রডাকশন বেড়ে যায়। এছাড়াও ইউরিনারি ট্র্যাকে জ্বালা যন্ত্রণা কমাতেও সহায্য করে। একই সঙ্গে কিডনি আর ইউরিনারী সিস্টেম পরিষ্কার রাখে। বিভিন্ন টক্সিনের কারণে ইউরিনারী ডিস ওর্ডার দেখা দেয়। কিন্তু আগেই বলেছি মুলাশরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। তাই ইউরিনারি ডিজিজ সারানোর জন্য মুলাব্যবহার করা হয়।
ওজন কমাতে সহায্য করে : মুলা খেলে সহজেই পেট ভরে যায়। যার মানে আপনার খিদেও মিটলো কিন্তু ক্যালোরি কাউন্ট বাড়লো না। মুলোর বেশিরভাগটাই জল দিয়ে তৈরি তাই যারা দ্রুত ওজন কমাতে চায় তাদের জন্য আদর্শ। এছাড়াও এটা হাই ফাইবার আর লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হওয়ার ফলে পেট পরিষ্কার রাখে এবং শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে ওজন কমতে বাধ্য।
কার্ডিওভ্যাসকুলার সিস্টেমের জন্য খুব ভালো : এতে প্রচুর পরিমাণে anthocyaninsআছে যা একধরণের ফ্লাভোনয়েড। রিসার্চ বলছে এই ফ্ল্যাভোনয়েড হার্ট হেল্থ ভালো রাখে।
শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রোগ দূর করে : পেটের মতোই রেস্পিরেটারী সিস্টেমকেও পরিষ্কার রাখে মুলা| এই কারণেই একে অ্যান্টি কনজেস্টিভ বলা হয়। মুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিআমিন সি আছে যা শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায়। ডিস ইনফেক্টটেন্ট হওয়ার ফলে ইনফেকশনের হাত থেকেও বাঁচায় শরীরকে।
রক্ত চাপ কম করে : মুলোতে পটাসিয়াম পাওয়া যায় যা ব্লাড প্রেশার কমাতে সাহায্য করে।
লিভার আর গলব্লাডারকে সুরক্ষিত রাখে : শরীরে বাইল‚ বিলিরুবিন‚ অ্যাসিড আর এনজাইমের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে মুলা| নিয়মিত মুলাখেলে লিভার আর গলব্লাডারকে ইনফেকশন আর আলসারের হাত থেকে বাঁচায়।
পোকার কামড় সারিয়ে তোলে : মুলাতে অ্যান্টি প্ররিক্টিক প্রপার্টি আছে। এর ফলে পোকার কামড় বা মৌ মাছির কামড় সহজেই সারিয়ে তুলতে পারে। মুলোর রস আক্রান্ত জায়গায় লাগালে ব্যথা এবং ফোলা দুই কমবে।
ক্যান্সারকে দূরে রাখে : মুলা ডিটক্সিফায়ার এবং এতে ভিটামিন সি‚ ফলিক অ্যাসিড‚ anthocyanins আছে। এর ফলে কোলোন‚ কিডনি‚ পেটের এবং মুখের ক্যান্সারের ট্রিটমেন্টে কাজে আসে। মুলা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হওয়ায় এটা নিয়মিত খেলে ক্যান্সারকে দূরে রাখা যায়।
-ইন্টারনেট