মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী::
সারা দেশের ন্যায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হাওয়া বইছে এখন সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) নির্বাচনী এলাকায়। এ আসনে মাঠের লড়াইয়ে সরব এখন আ’লীগ, বিএনপি ও জাতীয়পার্টির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী। দীর্ঘদিন ধরে ছাতক ও দোয়ারাবাজার দুই উপজেলায় বড় দুই দলে গ্রুপিং রাজনীতির কারণে তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও সাংগঠনিক কর্মকান্ড পালন করে আসছেন বিভক্ত হয়েই।
অন্য দিকে ১১ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষন যতই ঘনিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আ’লীগের মনোনয়ন পেতে মাঠের লড়াইয়ে সরব রয়েছেন এখন বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, দোয়ারাবাজার উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক সাবেক ছাত্র নেতা ফরিদ আহমদ তারেক ও সাবেক ছাত্র নেতা শামীম আহমদ চৌধুরী । দলটির তিন হেভিওয়েট নেতাই এখন তৃণমুল পর্যায়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিভক্ত হয়ে দুই উপজেলায় সাংগঠনিক তৎপরতাও চালাচ্ছেন তারা। দলীয় মনোনয়ন পেতে তিনজনই কোমর বেঁধে নেমেছেন এখন মাঠে। অন্য দিকে প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আইয়ুব করম আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভিন্ন শ্লোগান ও ব্যানার ফেস্টুন দিচ্ছেন দুই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাঠে মংদানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ।
এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন ধরে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মুনসিফ আলী। বিএনপি’র ওই তিন নেতাই দীর্ঘদিন ধরে বিভক্ত হয়ে দুই উপজেলায় আলাদা ভাবে দলীয় কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে তিন নেতাই দলের কেন্দ্রিয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠের লড়াইয়ে নামতে সরব প্রচারণা চালাচ্ছেন তিন নেতা।
এ আসনে ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রিয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শফিক উদ্দিন জোটের মনোনয়ন পেতে চান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জোটগত মনোনয়ন পেতে ছাতক-দোয়ারাবাজার দুই উপজেলায় মাঠে কাজ করছেন। খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা মনে করেন, ১৮ দলীয় জোটের প্রধান শরীক বিএনপির দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকায় এ আসনটি খেলাফত মজলিস কে দেওয়া হবে।
তবে জোটের অন্য শরীক জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মীরা বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে জোটগত ভাবে তাদের দল অংশ গ্রহণ করলে তারা ওই আসনটি জোটগত ভাবে চাইতে পারেন। জামায়াতের মাওলানা আব্দুছ সালাম আল মাদানী এ আসনে জোটগত ভাবে নির্বাচন করতে আগ্রহী।
অপর দিকে মহাজোটের অন্যতম শরীক জাতীয়পার্টির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বর্তমানে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেছেন। এ আসনে জাপা’র মনোনয়ন পেতে চান জেলা জাপা’র সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ, জাতীয়পার্টির কেন্দ্রিয় সদস্য সাবেক জেলা জাপা’র সাধারণ সম্পাদক আ.ন.ম অহিদ কনা মিয়া, জাপা’র কেন্দ্রিয় সদস্য ও দোয়ারাবাজার উপজেলা জাপা’র আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলম, রুহুল আমিন।