জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন সনদে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে সচিবের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করেছেন এলাকাবাসী। পরে পরিষদের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে কর্মসুচী স্থগিত করা হয়। রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব তোফাজ্জল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে সরকারি নিয়ম ভেঙে জন্ম নিবন্ধন সনদে দুই থেকে তিন হাজার টাকা আদায় করে আসছিলেন। এছাড়া জন্ম নিবন্ধন কার্ডে ভুল সংশোধন করতে হলে তিনি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেন বলেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
ঘেরাও কর্মসুচীতে অংশ নেয়া ওই ইউনিয়নের ২নং ওর্য়াডের মধুপুর গ্রামের মৃত আছদ্দর উল্লার ছেলে খলিলুর মিয়া জানান, আমরা জানি জন্ম নিবন্ধন সনদ নিতে কোন টাকা লাগে না। আমার নিজের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ আনার জন্য আমি ইউনিয়নের সচিবের নিকট গেলে তিনি ৭ হাজার টাকা দাবি করেন। এতে প্রথমে আমি রাজি না হওয়ায় তিনি সনদ দেবেন না বলে জানান। শেষ পর্যন্ত অনেক অনুরোধ করে ৫ হাজার টাকা দিয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়েছি।
ঘেরাও কর্মসুচীতে অংশ নেয়া দাওরাই গ্রামের মিলাদ হোসেন জানান, সচিব সরকারি আইন লঙ্গন করে মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেন। এতে এলাকার মানুষ বিক্ষুব্দ হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করেন। এ সময় পরিষদের চেয়ারম্যান এলাকাবাসীকে বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বললে আমরা আমাদের কর্মসুচী বাতিল করি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের সচিব তোফাজ্জেল হোসেনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আবু ঈমানি জানান, সচিবের বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধনের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষকে জানাবো।
এ প্রসঙ্গে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুম বিল্লাহ জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে সচিরের বিরুদ্ধে আইনাগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।