স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য সজ্জন রাজনীতিবিদ আয়ূব বখত জগলুল মারা গেছেন। (ইন্না…রাজিউন)।বৃহষ্পতিবার সকাল সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যুতে সুনামগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন। আয়ূব বখত জগলুল মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক পুত্র ও কন্যাসন্তানসহ অসংখ্য আতœীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে মারা গেছেন।
আয়ূব বখত জগলুলের বাল্যবন্ধু এটিএম মিসবাহ বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট সমাবেশ থেকেই রাজনৈতিক ও পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য জগলুল ঢাকা চলে যান। ঢাকার কমলাপুরে আলফারুক আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেন। বৃহষ্পতিবার ভোরে বুকে ব্যাথা নিয়ে তিনি ঢাকার ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে স্কয়ার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
আয়ূব বখত জগলুলের মৃত্যুর খবর সুনামগঞ্জ পৌর শহরে এসে পৌঁছলে নাগরিকরা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন। তাঁর রাজনৈতিক শুভাকাঙ্খী, বন্ধুজনসহ শহরের দলমত নির্বিশেষে সুনামগঞ্জের সাধারণ মানুষ তাঁর আরপিন নগরস্থ বাসভবনে ছুটে যান। তারা শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে তার ভাগ্নে ঢাকা ইডেন কলেজের অধ্যাপক সাব্রী সাবেরিন জানান, কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা হেলিপ্টার যোগে মরহুমের মরদেহ নিয়ে রওয়ানা দিবেন। তার বাড়িতে সর্বস্তরের জনতার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হবে। আগামীকাল দুপুর দ্ইুটায় সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে তার নামাজে যানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য আয়ূব বখত জগলুল সত্তরের দশকে ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তার পিতা ভাষাসৈনিক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর হোসেন বখত ছিলেন সুনামগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান সংগঠক। আয়ূব বখত জগলুল বিভিন্ন সময়ে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক, আওয়ামী লীগের নাংগঠনিক ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের নির্বাচিত ভিপি ও জিএসের দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১১ সালে তিনি সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। দ্বিীয় মেয়াদে ২০১৫ সালে তিনি পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। সুনামগঞ্জ শহরের দৃষ্টিনন্দন উন্নয়নের জন্য সাধারণ মানুষ তাকে বিশেষ সম্মান করে থাকে।