ডা. নূরুল ইসলাম:
একঝাঁক তরুণ ছেলে-মেয়ে ও যুবকদের নিয়ে গড়া সুনামগঞ্জের সুরমার উত্তরপাড়ের এক অসাধারণ সমাজ কল্যাণ মূলক সংগঠন হলো ‘ফেনিবিল সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ’।
সংগঠনটির দৃষ্টিভঙ্গী, কর্মতৎপরতা ইতোমধ্যে সুধীজনের নজর কেটেছে। এলাকার স্বার্থে বিভিন্ন সময়ে সংঘটি এখন পর্যন্ত অনেকগুলো জনকল্যাণমূলক কাজ অত্যন্ত সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছে। কয়েকটি মহৎ উদ্দেশ্যের কথা না বললেই নয়। যেমন অসহায় গরিব ছাত্রদের মধ্যে বিনামূল্যে পড়াশুনার সামগ্রী বিতরন, গরীব ও দুস্থদের জন্য ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প, বৃক্ষরোপন অভিযান, যথাযথ মর্যাদার সাথে জাতীয় দিবসগুলো পালন, খেলাধুলার আয়োজন, সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ, গুনিজনদের সন্মাননা স্মারক প্রদান, ভোটার কার্ড বিতরণে সহায়তা করণ, বিনা পারিশ্রমিকে সমাজের নানা প্রকার নির্মাণ কাজে অংশগ্রহণ সহ আরো অনেক কাজে সংগঠনটির কর্মতৎপরতা প্রশংসার দাবি রাখে। যা স্থানীয়ভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। উজ্জীবিত করেছে সাধারণ মানুষকেও। এলাকার উঠতি তরুণরাও এই প্রশংসিত কাজে উদ্ধুদ্ধ হচ্ছে।
বর্তমানের পচনধরা মূল্যবোধের অবক্ষয়ের সমাজ ব্যবস্থায় এরকম সংগঠন প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায় গড়ে উঠা এখন সময়ের দাবি। ইচ্ছা আর মহৎ উদ্দেশ্য থাকলে যে অনেক সুন্দর ও জনকল্যাণ মূলক কাজ করা মোটেও কঠিন নয়, তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো ‘ফেনিবিল সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ’।
সংগঠনটি সচল রাখতে নিরাবধি কাজ করে যাচ্ছে একদল তরুণ নিঃস্বার্থ যুবক-যুবতী ও উপদেষ্টা মন্ডলী। আমি সর্বদাই সংগঠনটির মঙ্গল কামনা করি এবং রাজনৈতিক সংকীর্ণতার পাশ কাটিয়ে বর্তমানের ন্যায় সর্বদাই সুন্দর সুন্দর গঠনমূলক সমাজ কল্যাণ কাজে নিয়োজিত থাকুক এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।
তরুণরা পারে না পৃথিবীতে এমন কোন কাজ নাই। পড়াশুনার পাশাপাশি যে কোন সমাজকল্যাণমূরক কাজে অংশগ্রহণই পারে আমাদের যুবসমাজকে একটি দেশের সত্যিকারের আদর্শ নাকরিকে রুপান্তরিত করার অন্যতম প্রধান উপায়। ‘ফেনিবিল সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ’ এর মতো প্রতিটি পাড়ায়, প্রতিটি মহল্লায় গড়ে উঠুক আরো হাজারো সংঘ, হাজারো সংগঠন। আর তাদের গঠনমূলক কাজ বদলে দিক উন্নয়ন ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি।