ডেক্স রিপোর্ট::
জামালগঞ্জে এখনও হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করা যায়নি। যে প্রকল্প গুলোতে কাজ শুরু হয়েছে তাতে দুর্মুজ দেওয়া হচ্ছেনা। লাগানো হচ্ছেনা প্রাক্ষলণের সাইনবোর্ড। তাছাড়া বাঁধের কাজেও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন কৃষকেরা। এদিকে জামালগঞ্জের পাকনার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ গতকাল সোমবার পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১০০ টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার সর্ববৃহৎ পাকনার হাওরে ৩টি ইউনিয়নেই অধিকাংশ প্রকল্প। দে;খা গেছে এ হাওরের ২৫ নং পিআইসি গজারিয়া ও কামধরপুর গ্রামের মধ্যবর্তী কয়েকটি ছোট ভাঙ্গা ও একটি বড় ক্লোজার নির্মাণের কাজ কয়েকদিন ধরে শুরু হয়েছে। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ উচ্চতাসহ আনুষঙ্গিক পরিমাপের ২০ ভাগ কাজও এখনও সম্পন্ন হয়নি। সরেজমিন দেখা গেছে, ২৬ নং প্রকল্পের আংশিক কাজ করা হয়েছে দুর্মোজবিহীন। ২৭-৩২ নং পর্যন্ত প্রকল্পের সাইনবোর্ড দেখা যায়নি। ৩৩ ও ৩৪ নং প্রকল্পের কাজ সবেমাত্র শুরু হয়েছে। এদিকে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন পিআইসিতে যাদেরকে নিযুক্ত করা হয়েছে তাদের অনেকই অকৃষক। তাছাড়া কাজও তারা প্রাক্ষলণ অনুযায়ী করছেন না।
ছয়হারার কৃষক সাধন দাস বলেন, পাকনার হাওরের পানি এবার বিলম্বে নেমেছে। তাছাড়া অনেক পিআইসি এখনও কাজ শুরু করেনি। কোন বাধে কত টাকা বা কিভাবে কাজ হবে সেটা জানারও সুযোগ নেই কৃষকের। কারণ প্রকল্প এলাকায় কোনও সাইনবোর্ড নাই।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আল ইমরান বলেন, পানি বিলম্বে নামার কারণে যথাসময়ে প্রাক্ষলণ না হওয়ায় কাজ কিছুটা বিলম্বে শুরু হয়েছে। তবে বেশিরভাগ প্রকল্পেই কাজ শুরু হয়েছে। সবগুলো প্রকল্পেই সাইনবোর্ড টাঙ্গানোর কথা। যথা সময়েই কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।