ডেস্ক রিপোর্ট
লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলায় মদতদানের অভিযোগে গ্রেফতার হতে পারেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল রাতে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি লন্ডনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ইউকে এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলো বিক্ষোভের আয়োজন করে। বিক্ষোভ শেষে দূতাবাসে স্মারকলিপি হস্তান্তরের সময় একদল বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দূতাবাসের অভ্যন্তরে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। কিছু আসবাবপত্র ভাঙার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করেন তারা।
কিছুক্ষণ পর স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং সেখান থেকে যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহিনকে আটক করে।
পরে শাহীনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, তারেক জিয়ার নির্দেশেই তারা এই বিক্ষোভ করেছে। পুলিশ এখন ভাঙ্গচুরে উস্কানি ও মদদ দেওয়ার অভিযোগে তারেক জিয়াকে গ্রেফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পরে বাংলাদেশ দূতাবাস তারেক রহমানকে প্রধান আসামি করে ৫০ জনের বিরুদ্ধে লন্ডন পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করে।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ হামলার বিষয়ে গতকাল বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে দূতাবাসগুলো বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। বিদেশে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের ভাঙচুর ও আক্রমণের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এতে দেশের সম্মান বাড়ে না।’
বাংলাদেশের কূটনৈতিক সূত্রের দাবি, বিদেশি দূতাবাসে হামলার বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের কথা পুলিশ বিবেচনা করছে।
২০০৭ সাল থেকে তারেক লন্ডনে বসবাস করছেন। তারেক ইন্টারপোলের ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল।
খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পরে অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম বিবৃতিটিও দিয়েছেন ইতিমধ্যেই অর্থ পাচারের অন্য একটি মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া তারেক। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৫বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেযারম্যান তারেক রহমানকেও ১০ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে লন্ডন থেকে বিবৃতিতে তারেক বলেছেন, ‘শাসক দল বাংলাদেশে সম্পূর্ণ স্বৈরাচার কায়েম করেছে। বিচার ব্যবস্থাকেও তারা কুক্ষীগত করেছে। এ দিনের রায়ে প্রমাণ হয়েছে, এই অবৈধ সরকারের আমলে বাংলাদেশে আর ন্যায়বিচার সম্ভব নয়।’
আনন্দবাজার।