অনলাইন ডেক্স::
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদÐ হয়েছে। যার ফলে ৮ ফেব্রæয়ারি থেকে তিনি সশ্রম কারাদÐ ভোগ করছেন। সঙ্গে বিনা অপরাধে কারা ভোগ করছেন তার গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগমও।
খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী সানাউল্লা মিয়া বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বয়স্ক মানুষ। তিনি একা চলাফেরা করতে পারেন না। তাই তার জন্য একজন পরিচারিকা প্রয়োজন। এজন্য তার পরিচারিকা হিসেবে থাকার জন্য ফাতেমা প্রস্তত রয়েছেন।
তবে, কারা বিধির ৯৪৮ বিধিতে বলা হয়েছে, ‘যখন কোনো কারাগারে মাত্র একজন মহিলা বন্দি থাকেন এবং সেখানে যদি কোনও মহিলা কারারক্ষী না থাকেন, তবে জেল সুপার সে মহিলা বন্দির একজন পরিচিতি মহিলাকে তার সঙ্গে কারাগারে থাকার অনুমতি দিতে পারেন।
কারা বিধি অনুযায়ী বোঝা যাচ্ছে কারাগারে মহিলা কারারক্ষী থাকলে কোনো ব্যক্তিগত গৃহপরিচারিকা থাকতে পারবে না। কিন্তু তবুও ফাতেমা বিনা অপরাধে কারা ভোগ করছেন।
ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, কারাগারে মহিলা কারা রক্ষী থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া কিভাবে পারলেন ব্যক্তিগত গৃহপরিচারিকা রাখতে। একজন মানুষ গরীব বলে, তিনি কি বিনা অপরাধে কারাগারে থাকতে পারেন?
বলে রাখা ভালো, খালেদা জিয়ার দেখভাল করা ফাতেমার নিজস্ব পরিবার রয়েছে। তার সন্তানরা মায়ের অপেক্ষায় দরজার বসে থাকে। কিন্তু তারা জানে না, বিনা অপরাধে তার মা ৫ বছর পর্যন্ত কারা ভোগ করবে।
জাতির বিবেককে কতোটা নাড়া দেয় দারিদ্রতা। শুধু মাত্র গরিব হওয়ার কারণে জেল খাটছেন ফাতেমা।
এ প্রসঙ্গে ফাতেমা বেগমের এক প্রতিবেশি বলেন, ফাতেমা তার সন্তানদের খুব ভালোবাসে। সে যখন জানতে পারে খালেদা জিয়ার অপরাধের সাজা হিসেবে বিনা অপরাধে তাকেও কারা ভোগ করতে হবে, সে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। কিন্তু উপায় না পেয়ে জেলে যেতে রাজী হয়। কারণ বিএনপির নেতাকর্মীদের চাপের মুখে ফাতেমার আর কিছু করার ছিলো না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাফিজা আহমেদ নামে একজন লিখেন, বয়স ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় কম সাজা দেয়া হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে। কারাগারে কারারক্ষীও বিদ্যমান ছিলো। এরপরেও তিনি তার নিজের সাজা ভোগে আরাম আয়েশের জন্য ফাতেমাকে নিয়ে গেছেন। অবাক লাগে একজন নিরাপরাধ মানুষ কারা বরণ করছে, অপরাধীর সেবা করার জন্য।
সূত্র: বাংলানিউজপোস্টডটকম।