1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন

বিদ্যুত খাতে বিপ্লব: দেশব্যাপী আলোর ঝলকানি

  • আপডেট টাইম :: সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ৩.৫৪ পিএম
  • ২০৫ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেক্স::
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল পর্বের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে, চলছে পায়রা এবং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ। কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের। আগামী ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বৃহৎ এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবক’টি উৎপাদনে আসবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে যে সাহসিকতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ- এই সাহস বদলে দিয়েছে বিনিয়োগ খাতকে।

চারটি কেন্দ্রের মধ্যে পায়রা, রামপাল, মাতারবাড়ি চলবে আমদানি করা কয়লা দিয়ে। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো মোট ৭ হাজার ৫৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক বৈঠকে জানানো হয়, প্রতি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জিডিপিতে ৫৬ কোটি টাকার অবদান রাখে। এ হিসেবে ৪ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার অবদান রাখবে জিডিপিতে।

এখন দেশে মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্যাপটিভসহ ১৬ হাজার ৪৬ মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ উৎপাদন সাড়ে ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৫৫০ মেগাওয়াট। তখন প্রতিদিন উৎপাদন হতো ২২৪ মেগাওয়াট।

দেশের প্রথম আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রটির এক চতুর্থাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রের এক নম্বর বয়লার স্থাপনের স্টিলের কাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে, দুই নম্বর বয়লারের ভিত তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিন হাজার মানুষ দিনরাত কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য কাজ করছে।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এখন যেভাবে কাজ চলছে তাতে কেন্দ্রটির কাজ শেষ হবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর নাগাদ।

এদিকে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মূল পর্বের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছেন। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এরমধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মূল পর্বের অর্থাৎ পরমাণু চুল্লি বসানোর কাজ (ফাস্ট কংক্রিট পোরিং ডেট বা এফসিডি) শুরু হচ্ছে। এর আগে রূপপুরে আবাসন ছাড়াও অন্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদনে আসবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। আর দ্বিতীয় ইউনিট আসবে পরের বছর। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ৩২তম দেশ হিসেবে নিউক্লিয়ার ক্লাবে যুক্ত হতে যাচ্ছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে দেশের প্রায় ৮৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে সন্তুষ্ট। পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। দৈব চয়ন পদ্ধতিতে দেশব্যাপি মোবাইল ফোন গ্রাহকের কাছে তথ্য নিয়ে ওই জরিপ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। ২০১৬ সালের অক্টোবরে এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জরিপটি চালানো হয়। যেখানে অক্টোবরকে গ্রীষ্ম মৌসুম এবং ফেব্রুয়ারিকে শীত মৌসুম হিসেবে ধরা হয়েছে।

জরিপে ১৪ হাজার ৯৯৬ জনের কাছ থেকে তথ্য নেয়া হয়। এরমধ্যে গ্রীষ্মকালে ৯ হাজার ৯২৭ জন এবং শীতকালে ৯ হাজার ৬৭৩ জন। ফোনে গ্রাহকদের ৬টি প্রশ্ন করে উত্তর নেয়া হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৭৩.৬ শতাংশ পল্লী, ১৭.৯ শতাংশ পৌর এবং ৮.৫ শতাংশ শহর এলাকার। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের ১১.২ শতাংশ জনগণ বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে খুব সন্তুষ্ট। শুধু সন্তুষ্ট ৪৫.৮ শতাংশ এবং মোটামুটি সন্তুষ্ট ২৯.৯ শতাংশ।

অতীতের লোডশেডিংকে জাদুঘরে পাঠিয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। মানুষ এখন বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষায় বসে থাকে না, বিদ্যুৎ এখন শহর ছেড়ে পল্লীতে, দুয়ারে দুয়ারে। বিদ্যুৎ খাতে ঘটে গেছে এক নীরব বিপ্লব, যার সুফল পেতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। জনগণের সাশ্রয়ী ও পরিকল্পিত ব্যবহার বিদ্যুতের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আরো অনেকদূর

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!