অনলাইন:
মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি দীর্ঘ দিন থেকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট-সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম সৈয়দ মাহবুবুল হক এবং মায়ের নাম রওশন হাসিনা। বাবা-মায়ের ১১ সন্তানের মধ্যে প্রিয়ভাষিণী সবার বড়। তিনি খুলনার পাইওনিয়ার গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং খুলনা গার্লস স্কুল থেকে এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস করেন।
তিনি ইউএনডিপি, ইউএনআইসিইএফ, এফএও, কানাডিয়ান দূতাবাস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। শেষ বয়সে এসে নানা শিল্পকর্ম সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেন এবং তা অবিরামভাবে অব্যাহত রাখেন।
শিল্পকলায় অবদানের জন্য তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসাবে পরিচিত ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ অর্জন করেন। এছাড়া তিনি হিরো বাই দ্যা রিডার ডাইজেস্ট ম্যাগাজিন (ডিসেম্বর ২০০৪), চাদেরনাথ পদক, অনন্য শীর্ষ পদক, রৌপ্য জয়ন্তী পুরস্কার (ওয়াইডব্লিউসিএ), মানবাধিকার সংস্থা কর্তৃক মানবাধিকার পুরস্কার সহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।