অনলাইন ডেক্স:
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে যারা বিরোধীতা করেছিল তাদের পরিচয় এবং তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাঠ্যসূচিতে থাকা আবশ্যক।
মন্ত্রী আজ শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান প্রজন্ম ১৯৪৮ থেকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের নির্বাচন, ৬৬’র ছয়দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৭০’র নির্বাচন ও পরবর্তীতে ৭১’র নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে খুবই কম জানে। কারণ পাঠ্য বইয়ে এসব ইতিহাস সামান্য তুলে ধরা হয়েছে।
এ ছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসর জামায়াত, আল বদর, আল শামস তারা কি করেছে, কিভাবে অগ্নি সংযোগ, মা-বোনদের পাশবিক নির্যাতন, ঘর-বাড়ি লুটপাট, নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে তারও উল্লেখ নেই বললেই চলে। পাঠ্য বইয়ে এসব ইতিহাস থাকা আবশ্যক বলে মন্ত্রী মনে করেন। এ সময় ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাধীনতার ইতিহাস জানার তাগিদ দেন মন্ত্রী।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা স্মৃতিচারণ করে বক্তৃতা দেন। পরে বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও পিএসসির সাবেক সদস্য ওয়াজেদ আলী খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন, রাশিয়ার পিপলস ফ্রেন্ডশীপ ইউনির্ভাসিটির অধ্যাপক ইয়েছিনা জয়া ইভানোভনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী কামরুজ্জামান, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির অধ্যাপক ড. রমিত আজাদ, যুগ্ম সচিব ফারুক হোসেন, অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক মস্কো প্রবাসী প্রকৌশলী আলমগীর জলিল প্রমুখ।