স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমদকে শশুর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বেদম পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে তারা। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই ফরহাদের ভাই কুটি মিয়া এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কাউন্সিলর শামছুজ্জামান স্বপনসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে ফরহাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ডাক্তাররা। তবে ফরহারে স্বজনরা জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নাদের বখতের পক্ষে নৌকা প্রতীকে সক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপর এই পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।
জানা গেছে শুক্রবার রাতে পশ্চিম তেঘরিয়া এলাকায় শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে যান তিনি। রাত ১১টার দিকে কয়েকজন যুবক তাকে নদী তীরে ডেকে আনে তাকে। তখন নদী তীরে দাড়িয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা বেদম মারপিট শুরু করে তাকে। মারের চোটে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ফরহাদ। পরে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে নদীর তীরে ফেলে রেখে পুলিশকে খবর দেয় সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীরা ওই পাড়ার একজন পেশাজীবী ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ডেকে এনে পুলিশের কাছে রাসেল নামের ওই ইয়াবা ব্যবসায়ীসহ রক্তাক্ত ও জ্ঞান হারানো ফরহাদকে তুলে দেয়। পুলিশ ফরহাদকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসে। পরে এলাকায় গিয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনার তদন্ত চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশী তদন্তে জানা গেছে ফরহাদকে ফাঁসাতে তাকে পিটানোর পর ইয়াবা দিয়ে পুলিশকে খবর দিয়েছিল সন্ত্রাসীরা।
এ দিকে এ ঘটনায় রাতেই ফরহাদের বড় ভাই কুটি মিয়া বাদী হয়ে কাউন্সিলর শামছুজ্জামান স্বপনসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর শামছুজ্জামান স্বপনসহ অন্যান্য আসামীদের বাসায় তল্লাসি চালায় পুলিশ। পরে শনিবার সকালেও তল্লাসী চালিয়েছে। মামলার পর রাসেল, এনাম ও ফয়সালসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
সদর থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে আসল ঘটনা জানতে পারি। তিনি বলেন, অন্যান্য সময় খারাপ কাজ করলেও ফরহাদ গতরাতে কোন খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলনা। তাকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ডেকে এনে পিটানোর পর ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে আমরা এই ঘটনা অবগত হয়েছি। যারা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাদের বাসা বাড়িতে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।