মার্চ ছিল আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ ও বন দিবস। প্রতি বছর এ দিনটি যন্ত্রণা আর দগ্ধতা তৈরি করে। এ বছর এই দিনে চলে গেলেন বীরপ্রতীক কাকেত হেনই্ঞতা, অধিপতি পরিচয়ব্যবস্থায় যিনি ‘কাঁকন বিবি’ নামেই পরিচিত। জীবদ্দশায় এক দীর্ঘসময় তিনি ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবেই অস্বীকৃতি ছিলেন। দীর্ঘসময় কেটেছে অবহেলা আর নিরন্ন দিন। মৃত্যুকালে খুব অসুস্থ হয়ে আবারো সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এর আগেও কতবার কত অসুখকে ঘায়েল করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন কাকেত। ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১০ এক একটা বছর টানা অসুখের যন্ত্রণা পাড়ি দিতে হয়েছে। সব যন্ত্রণা আর অস্বীকৃতিকে ছাপিয়ে কাকেতের প্রাপ্তিও অনেক। মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য সুনামগঞ্জের মানুষ তাকে ‘খাসিয়া মুক্তিবেটি’ উপাধি দিয়েছে। সিলেটি ভাষায় ‘বেটি’ মানে নারী। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কারণেই কাকেত ‘মুক্তিবেটি’। এরকম সামাজিক স্বীকৃতির পর একজন মানুষের জীবনে আর কী দরকার! রাষ্ট্র কাকেতকে বীরপ্রতীক খেতাব দিয়েছে। গণমাধ্যম, ব্যাংক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান কী ব্যক্তি অনেকেই তার নানান দু:সময়ে কোনো না কোনোভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কাকেতের অন্তরে জমে থাকা এক নিদারুণ অভিমানের খোঁজ রাষ্ট্র করেনি, বলা যায় করতে চায়নি। কাকেত সবসময় নিজের জাতিগত পরিচয়ে স্বীকৃতি পেতে চেয়েছিলেন। তার পারিবারিক জাতিগত নামখানি চারদিকে উচ্চারিত হবে এটি আশা করেছিলেন। জানি পরিচয় এক সতত পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। জানি এই অধিপতি বাঙালি পুরুষ রাষ্ট্রে একজন খাসি নারীর আত্মপরিচয় কতখানি চুরমার হয়ে যায়। কিন্তু কাকেতের জিরারগাঁওয়ের গ্রামীণ নি¤œবর্গ কিন্তু তাকে ‘খাসিয়া মুক্তিবেটি’ নামেই পরিচিতি দিয়েছে। কাকেত কেবলমাত্র একজন সাহসী মুক্তিসংগ্রামীই নন, তাঁর জাতিগত আত্মপরিচয়ও আছে। হাওর-ভাটির গ্রামীণ নি¤œবর্গ এটি সাহসের সাথেই উচ্চারণ করেছে। কারণ মুক্তিযুদ্ধের এক অবিস্মরণীয় দর্শনই হলো আত্মপরিচয়ের সার্বভৌমত্ব। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র, গণমাধ্যম, অধিকারভিত্তিক সংগঠন কী রাজনৈতিক প্রক্রিয়া কাকেতের মতন একজন খাসি নারী মুক্তিযোদ্ধার আত্মপরিচয়ের ময়দার থেকে এই দর্শনকে বুঝতে চায়নি। কিন্তু এটি জরুরি। দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধার আপন আত্মপরিচয়েও পরিচিত হওয়ার ধারাকে সুরক্ষা করাই মুক্তিযুদ্ধের আখ্যানকে বিকশিত করা।
২.
২০০৭ সনে যখন প্রথম সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের জিরারগাঁওয়ে কাকেতের বাড়িতে থাকা শুরু করি তখনি প্রথম ‘কাঁকন বিবির’ আত্মপরিচয়ের এক অশ্রুত আহাজারি ঘিরে ধরে চারপাশ। তারপর এ নিয়ে কিছু লেখালেখি করি। নানা অনুষ্ঠানে কাঁকন বিবিকে ‘খাসি মুক্তিবেটি’ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করি। আজ তাঁর মহাপ্রয়াণে কত স্মৃতি তড়পায় আসমানপাতাল। কেবল জিরারগাঁও নয়; দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ, সিলেট, ঢাকা কত স্মৃতি কাঁকন বিবির সাথে। কাঁকন বিবির খাসি আত্মপরিচয়ের বয়ান ও সাক্ষ্য আমাদের এক প্রবল জাতিরাষ্ট্রের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। এ নিয়ে বাংলাদেশের খাসি জনগোষ্ঠী, উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয়ের খাসি প্রতিনিধি, খাসি ওয়েলফেয়ার এসোসিশেয়ন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামসহ নানাজন ও সংগঠনের সাথেও আলাপ হয়েছে। এটি জানা জরুরি, কীভাবে একজন খাসি নারী ‘বাঙালি নারী’ হয়ে গেলেন? এমনকি এটিও প্রশ্নের বিষয় জিরারগাঁও বা সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার ও ছাতকের আশেপাশে সীমান্তে আজ আর কোনো খাসি আদিবাসী বসতি নেই কেন? দোয়ারাবাজার-ছাতকের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো মূলত এককালে খাসি আদিবাসী অঞ্চল ছিল। এমনকি ব্রিটিশ উপনিবেশক রবার্ট লিন্ডসের দিনলিপিতেও দেখা যায় এই এলাকাগুলোতে খাসি জনতার বিচরণ। এই রবার্ট লিন্ডসে দেড়শ বছর আগে বিলেতের রানীকে বারবার ঘুষ দিয়ে প্রায় ১২ বছর সিলেট অঞ্চল শোষণ করেছিলেন। এককালের আদিবাসী অঞ্চলগুলো আজ সব বাঙালি গ্রাম। দোয়ারাবাজারের সীমান্তে জুমগাঁও নামের এক ছোট্ট টিলাভূমিতে কিছু মান্দি ও খাসি পরিবার বসবাস করছেন। সুনামগঞ্জের অন্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও আজ হাজং, খাসি, বানাই, মান্দি বসতগুলো দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে।
৩.
কাকেতের মা কা মেলি হেন্ইঞতা ছিলেন মেঘালয় ও দোয়ারাবাজার সীমান্তবর্তী এলাকার এক স্বচ্ছল খাসি পরিবারের মেয়ে। ব্রিটিশ উপনিবেশকালে চুনাপাথর খনি রক্ষার সংগ্রামে এই পরিবারের উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল। কা মেলি হেনই্ঞতার সাথে বিয়ে হয় নিহা খাসিয়ার। নিহা খাসিয়া এবং কা মেলি হেনই্ঞতার পাঁচ সন্তান। কাকেত ভাই-বোনদের ভেতর দ্বিতীয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই ১৯১৫ সনে জন্ম হয় কাকেতের। কাকেতের বড় বোনের নাম কা পাল হেন্ইঞতা, ভাইয়েরা হলেন উইট হেন্ইঞতা, উপাইয়াইন হেন্ইঞতা, উটাল হেন্ইঞতা। অল্প বয়সে মা-বাবাকে হারান ভাই-বোনেরা। তারপর মেঘালয়-দোয়ারাবাজার সীমান্তের গ্রাম থেকে কাকেত চলে আসেন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের জুমগাঁওয়ের কাছাকাছি সীমান্তবর্তী অঞ্চল তার বড় বোন কা পাল হেন্ইঞতার বাড়ীতে। এই পরিবারেই বেড়ে ওঠেন কাকেত। ১৯৪৭ সনে দেশভাগের সময় কাকেত তরুণ বয়সে বিয়ে করেন পাঞ্জাবী সীমান্তরক্ষী আবদুল মজিদ খানকে। তখন উপনিবেশিক পাকিস্তান আমল। বিয়ের পর ঐ মুসলিম পরিবারে কাকেতর নাম দেয়া হয় নূরজাহান। বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় তার পাঁচ সন্তান জন্ম নেয়ার পর আবদুল মজিদ খান ঘর সংসার ফেলে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। গৃহস্থালী বাগান, সুপারি বিক্রি ও কৃষিজমিতে বর্গা চাষ করে খুব কষ্টে বড় করতে থাকেন পাঁচ সন্তানকে। ১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধের কয়েক বছর আগে কাকেতের সাথে বিয়ে হয় দোয়ারাবাজারের কৃষক সাইদ আলীর। দ্বিতীয় স্বামীও তাকে ফেলে নিরুদ্দেশ হয়ে পুনরায় বিয়ে করে আলাদা ঘর সংসার করেন। সাইদ আলী ও কাকেতের কোনো সন্তানাদি হয়নি। কাকেতের পাঁচ সন্তানের ভেতর তাঁর একমাত্র জীবিত কন্যা সখিনা বিবি বিয়ে করেছেন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার জিরারগাঁওয়ের আব্দুল রফিককে। আমৃত্যু কাকেত তার মেয়ে সখিনার পরিবারসহ একত্রে এই জিরারগাঁওয়ে বসবাস করে গেছেন।
৪.
উপরে বর্ণিত কাকেতের এই পরিচয় বিবরণ আমরা না জানলেও কিছুটা হলেও তাঁর যুদ্ধদিনের সাহসী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানি। ১৯৭১ সালে কাকেত বাংলাদেশের মহান মুক্তিসংগ্রামে একজন নির্ভীক বীর যোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ৫নং সেক্টরের লক্ষীপুর ক্যাম্পের হয়ে তার দায়িত্ব পালন করেন। প্রথমদিকে মুক্তিসেনাদের দেখাশোনা, খাবার ও অস্ত্র যোগান দেয়ার পাশাপাশি যুদ্ধকালীন গুরুত্বপূর্ণ খবরাখবর মুক্তিসেনাদের পৌঁছানোর দায়িত্ব নেয়ার পর প্রায় বিশটিরও বেশি সম্মুখ যুদ্ধে তিনি অংশ নেন। তৎকালীন ৫নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মীর শওকত আলীর তত্ত্বাবধানে মহব্বতপুর, কান্দারগাঁও, বসরাই-টেংরাটিলা, বেনিংগাঁও-নূরপুর, পূর্ববাংলাবাজার, সিলাইড় পাড়, দোয়ারাবাজার, টেবলাই, তামাবিল এলাকায় সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন কাকেত। কাকেতর উল্লেখযোগ্য সাহসী অপারেশন ছিল জাউয়া সেতু উড়িয়ে দিয়ে পাকসেনাদের আক্রমণ ঠেকানো। ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে পাকহানাদার বাহিনীর আগমন ঠেকানোর জন্য মুক্তিযোদ্ধারা জাউয়া সেতু উড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কাকেত গভীর রাতে কলার ভেলায় ‘জেলে নারীর’ ছদ্মবেশে মাইন ও গোলাবারুদ নিয়ে জাউয়া সেতুর কাছে পৌঁছে মুক্তিসেনাদের সংকেত পাঠান এবং উড়িয়ে দেন জাউয়া সেতু। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকবাহিনী তাকে আটক করে এবং ভয়াবহ নির্যাতন চালায়, তার সারা শরীরে লোহার শিক ঢুকিয়ে দেয়া হয়। তবুও দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি একটিবারের জন্যও মাথা নত করেন নি কোনো অত্যাচার ও দুঃশাসনের কাছে।
৫.
কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর আবারো আমরা দীর্ঘসময় কাকেতের কিছুই জানতে পারিনা। পারিবারিক সহায় সম্পত্তি, জমি জমা না থাকায় কোনোমতে একটা মুদি দোকান দিয়ে, অন্যের বাড়ীতে কাজ করে সংসারটাও চালিয়ে নেন কাকেত। মুক্তিযুদ্ধের পর দীর্ঘ সময়ব্যাপী কেউ খোঁজ নেয়নি তার, তখন প্রায় ভিক্ষা করেই দিন কাটতো তার। ১৯৯৭ সালে সংবাদপত্রের মাধ্যমে দেশবাসী জানতে পারেন মুক্তিযোদ্ধা ‘কাঁকন বিবির’ কথা। তখন তিনি খুব অসুস্থ ছিলেন এবং সংবাদ সংগ্রহের জন্য তাঁর জিরারগাঁওয়ে গণমাধ্যম থেকে লোক আসে এবং সাক্ষাৎকার নেয়, ছবি তোলে। স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে কাকেত নামটি ‘কঠিন ও অপরিচিত’ মনে হওয়ায় সাংবাদিকরা তখন তাঁর নাম দেন ‘কাঁকন বিবি’। কাকেত হেন্ইঞতা থেকে একসময় নূরজাহান, পরবর্তীতে দেশব্যাপী তিনি কেবলমাত্র ‘কাঁকন বিবি’ নামেই পরিচিত হয়ে উঠেন। স্থানীয় মানুষেরা ভালবাসা ও শ্রদ্ধায় তাঁকে নাম দেয় ‘খাসিয়া মুক্তিবেটি’। তাঁরপর নানা সংবর্ধনা, অনুষ্ঠান, সম্মননা হয়েছে তাঁকে ঘিরে। ভাতা আর সহযোগিতা নানান সময় থেমে থেমে কখনোবা নানা আমলাতন্ত্র ডিঙিয়ে তাঁর পরিবার জোগাড় করেছে।
৬.
কাকেতের পুরো জীবনচক্র দেখলে স্পষ্ট টের পাওয়া যায় তাঁর ভেতরে এক খাসি নারীর মুক্তি স্ফূলিঙ্গ টানটান হয়েছিল। সারাজীবন। এমনকি মাতৃসূত্রীয় খাসি সমাজের নিয়মেই কন্যাসহ তিনি বাকী জীবন পাড় করেছিলেন। শেস দিকে খাসি ভাষা বিনাচর্চায় একেবারেই ভুলে যাচ্ছিলেন কাকেত। বাংলাদেশের খাসি আদিবাসী সংগঠকদের সাথে কাকেতের এমন অনেক আড্ডার গর্বিত স্বাক্ষী হয়েছিলাম আমি। এমন হয়েছে কাকেত ভুলে গেছেন কিছু শব্দ, আবার কেউ একজন খাসি ভাষাতেই তা মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। যতবার কাকেত স্মরণ করতে পারছেন, ততবারই পুরো আড্ডা হাসি আর চঞ্চলতায় ঝিলিক দিয়ে ওঠেছে। সবচে’ তেজ ঠিকরে পড়তো কাকেতের চোখ দিয়ে, যখন তিনি খাসি ভাষায় কথা বলবার চেষ্টা করতেন, যেন আরেকটা মুক্তিসংগ্রাম। সচরাচর বাঙালি নারীদের মতো শাড়ি কাপড় পড়লেও কাকেত খাসি নারীদের পোশাক ডিয়াচুকিয়াং পড়েছিলেন কয়েকবার। খাসি পোশাকের জন্য তাঁর পছন্দ ছিল গাঢ় হলুদ ও কালো রঙের চেক কাপড়। ঢাকায় আসাদগেটের সিবিসিবি সেন্টারে খাসি পোশাক পড়ে একটা খাসি গানেরও কিছুটা শুনিয়েছিলেন কাকেত। কাকেত আমার একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক। দোয়ারাবাজার রাবারড্যামের কারণে জলাবদ্ধতায় কষ্ট পাওয়া গ্রামবাসীর পাশে কীভাবে দাঁড়াতে হয় তা কাকেতের কাছ থেকেই শেখা। খাসিয়ামারা নদীর উদাহরণ টেনে কাকেত বুঝিয়েছিলেন নদীর উজান-ভাটির জটিল সম্পর্ক। কাকেত পান খেতে পছন্দ করতেন। সারাটাসময় লালরসে তাঁর মুখ টইটম্বুর হয়ে থাকতো। তবে তিনি খাসি পেথাই (গাছ পান) পছন্দ করতেন। নিজের বাড়িতেও সুপারি গাছে লতানো পান লাগিয়েছিলেন। খাসি জুম মরিচ, পুক মরিচ, উল্টা মরিচ, নাগা মরিচ, সাদা মরিচ, কালা মরিচ নানা জাতের মরিচের জাত সংগ্রহ করেছিলেন কাকেত। নানা জাতের বীজও দিতেন আশেপাশের নারীদের। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও কাকেতের পরানের গহীনে এক নিদারুণ যন্ত্রণা সারাজীবনই রক্ত ঝরিয়েছে। একদিকে তাঁর খাসি পরিচয়, অপরদিকে তাঁর কন্যা ও উত্তরাধিকের বাঙালি পরিচয়। পূর্বসুরী ও উত্তরাধিকারের এই দ্বৈত জাতিগত পরিচয়রেখা কাকেতকে অবিরাম এক ‘আত্মপরিচয়ে ময়দানে’ দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। কাকেত চেয়েছিলেন খাসি আত্মপরিচয়েরও স্বীকৃতি। আশা করি কাকেতর এই মহাপ্রয়াণ সময়ে আমরা তাঁর জাতিগত আত্মপরিচয়কে মর্যাদা দেয়ার সাহস করবো। মুক্তিযোদ্ধা ‘কাঁকন বিবিকে’ খাসি ভাষায় ‘খুবলে সিবোন’। অনেক অভিবাদন।
২১
……………………………………………………….
লেখক ও গবেষক। ই-মেইল: animistbangla@gmail.com