স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ পৌরসভার উপনির্বাচনে বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টায় শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। প্রথমে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দেখে ভোটার ও তিন প্রার্থীর সমর্থকরা ঘাবড়ে গেলেও কিছুক্ষণ পরেই আকাশে ঝলমলে রোদ দেখে নিজেরাও হেসে ওঠেন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ২৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২১টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেলে ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে উত্তর আরপিন নগর ভোট কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান গণিউল সালাদীন ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাদের বখতের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে এনএসআইয়ের উপ-পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন পলাশ, এক কনেস্টবলসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। উভয় পক্ষ প্রায় আধাঘন্টা ব্যাপী সময় নিজেদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ বেশ কিছু রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এই ভোট কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টায় একটি ব্যালট পেপারের বই ছিনতাইয়ের অভিযোগে সকাল থেকেই এই কেন্দ্রটিতে উত্তেজনা চলছিল।
সরেজমিন বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, দুপুর দুইটা পর্যন্ত একটি কেন্দ্রে উত্তেজনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাভে ভোটগ্রহণ চলছিল। এসময় পর্যন্ত বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট নিয়ে কোন অভিযোগ ছিলনা। বেলা ২টার পর উত্তর আরপিন নগরে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী নাদের বখত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গণিউল সালাদীনের সমর্থকদের মধ্যে উত্তর আরপিননগর ভোটকেন্দ্রে উত্তেজনার জের ধরে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এদিকে কেবি মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়েছে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, উত্তর আরপিন নগর ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ালে আমরা তাদের উত্তেজনা প্রশমন করতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করি। এসময় কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। তবে এই কেন্দ্র ছাড়া আর কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, বাকি ২১টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।