অনলাইন::
বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আজ শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। সম্পন্ন হওয়া প্রথম দিনের পরীক্ষায় দেশের কোথাও কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা চলে। এ পরীক্ষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো খবর বা প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, পরীক্ষা শুরুর কয়েকদিন আগে থেকে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজর রাখা হয়। দেখা যায়, এর আগের অন্যান্য পরীক্ষার মতোই একটি অসাধুচক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া প্রশ্ন ছড়িয়ে টাকার বিনিময়ে বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্ন দেয়ার বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। এক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র লেনদেনে ফেসবুক ও হোয়াটস অ্যাপে খোলা হয়েছে ক্লোজ চ্যাট গ্রুপ। তবে সেখানে পাওয়া প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া প্রশ্নের মিল পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন>প্রশ্নফাঁস রোধে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হয়েছে
পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্নের প্যাকেট হাতে শিক্ষামন্ত্রীজানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো অভিযোগ পাইনি।
ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব জসিম উদ্দীন আহমেদ বলেন, কোন প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তার মেসেজটি পরীক্ষা শুরুর ঠিক ২৫ মিনিট আগে পেয়েছি। মেসেজ পাওয়ার পরই আমরা প্রশ্নের প্যাকেট খুলেছি। সুষ্ঠুভাবেই পরীক্ষা নিয়েছি।
আরো পড়ুন> পিএসপি-ইবতেদায়িতে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধের উদ্যোগ
এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা এর আগে এদিন সকালে রাজধানীর একটি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁসসহ পরীক্ষায় যাবতীয় অনিয়ম ঠেকাতে বর্তমান বাস্তবতায় মানুষের পক্ষে যা যা করা সম্ভব সবই করেছি। ২৫ মিনিট আগে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সেট নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রশ্নপত্রের প্যাকেট সিকিউরিটি টেপ দিয়ে আটকানো হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট রাখা হয়েছে। ট্রেজারি থেকে কেন্দ্রে প্রশ্ন পৌঁছাতে কড়া সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সবকিছুই আমরা করেছি। এরপর আর প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া সম্ভব নয়। আশা করছি প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না।
আরো পড়ুন>প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ২৮ মনিটরিং টিম
উল্লেখ্য, এ বছর সারাদেশে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মে’র মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।