হিরন্ময় রায়::
প্রিয়,
অনুজপ্রতিম জুবিলীয়ান কচি কাচারা। তোমাদের স্কুলের প্রতি ভালবাসায় অভিভূত আমরা। তোমরা স্কুলের মাঠ রক্ষায় রাস্তায় নেমে এসেছো। এখনো তোমাদের মুখে মায়ের আচঁলের মমতার গন্ধ।তোমরা নেমেছ বুকের রক্ত দিয়ে স্কুলের মাঠ রক্ষায়। হাহাকার করে উঠল বুকের ভিতরটা। যে বয়সে তোমাদের স্কুলে পাঠ নেয়ার কথা, সে বয়সে তোমরা নেমেছ স্কুলের মাঠ রক্ষায়। কেন, তোমাদের নামতে হবে রাস্তায়? কারও অমরত্বের খায়েশ মেটাতে তোমাদের আমরা মরতে দেব না ভাইয়েরা। তোমাদের কেন নামতে হবে রাস্তায়?
এই জুবিলী কি এতো রিক্ত নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে যে, তোমাদের মত কোমলমতিদের বুকের রক্তের বিনিময়ে সে তাঁর আব্রু রক্ষা করবে? এই জুবিলী কি তাঁর ঋণ পাশে আবদ্ধ করেনি প্রাক্তনীদের? তোমাদের দিকে রক্তচক্ষু দেখানো অসুরদের শায়েস্তা করতে জুবিলী কোন বুকের পাটাওয়ালা পুরুষদের কি মানুষ করেনি?
অবশ্যই আছে…….
এই জুবিলী স্কুলের প্রাক্তন জুবিলীয়ানরা ছড়িয়ে আছে দেশে বিদেশে। তোমাদের উপর যদি কোন ফুলের ঠুনকো পড়ে, কেয়ামত নেমে আসবে এই শহরে। তোমরা কি জান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তোমাদের ভাইয়েরা ছুটে আসছে সুুনামগঞ্জ। বিদেশ থেকে রাখা হচ্ছে নিবিড় যোগাযোগ। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী প্রতিটা স্কুলে খেলার মাঠ থাকা বাধ্যতামূলক। সেখানে স্কুলের ভিতরে একটি শহীদ মিনার থাকা সত্বেও খেলার মাঠের জায়গা নষ্ট করে আরেকটি বানানোর পিছনে কারন কি? ৬ ডিসেম্ভর সুুনামগঞ্জ মুক্ত হয়। সেই সময়ের নির্মিত শহীদ মিনারকে পাশ কাটিয়ে আরেকটি কেন্দ্রীয় শহীদ বানানোর প্রক্রিয়ায় ক্ষোভে ফুসছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। বারুদের ন্যায় ক্ষোভে ফুসছে জুবিলীয়ানরা, সারা শহরের বোদ্ধারা চরম ক্ষিপ্ত। তোমাদের কোন ভয় নেই। তোমরা শ্রেণী কক্ষে তোমাদের পাঠে মনোনিবেশ কর। বাইরের দিক তোমাদের শহরের অভিবাভক ও প্রাক্তন জুবিলীয়ানরা সামলাবেন।
ইতি
তোমাদের বড় ভাইরা।