অনলাইন::
নির্যাতন এবং খারাপ পথে নিয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মা ও ছেলেকে খুন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন তানিয়া ও স্বামী ইউসুফ মামুন।
আজ সোমবার কুমিল্লার তিতাশ থানাধীন ঘোষকান্দি গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তানিয়া আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর আগে রবিবার তার স্বামী ইউসুফ মামুনকে সিলেট নগরের বন্দরবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পিবিআই সিলেটের কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফা সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই সিলেটের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিক এসব তথ্য জানান।
গত ১ এপ্রিল নগরের পূর্ব মিরাবাজার খাঁর পাড়ায় রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম রোকন হত্যার ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন তানিয়া আক্তার স্বামীসহ গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তানিয়া ও তার স্বামী মামুন দুজনে মিলে মা ও ছেলেকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, শুরুতে তানিয়াকে ওই বাসার গৃহকর্মী বলা হলেও বিষয়টি সঠিক নয়। বছর দেড়েক আগে হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজারে রোকেয়ার সঙ্গে তানিয়ার পরিচয় হয়। এরপর থেকে তানিয়া নিজের বাসায় নিয়ে আসে রোকেয়া। সেখানেই তানিয়া থাকত। সিলেটে আসার পর মামুনের সঙ্গে তানিয়ার পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক। এরপর এক বছর আগে তানিয়াকে বিয়ে করেন মামুন। এসময় রোকেয়া তানিয়াকে নিজের বোন বলে পরিচয় দেন। মামুন একপর্যায়ে জানতে পারেন রোকেয়া বেগম তার স্ত্রীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করান। এক পর্যায়ে তানিয়াও বিষয়টি স্বামীর কাছে স্বীকার করেন এবং তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে এমনটি করা হত বলে স্বামীকে জানান। এর পরই স্বামী-স্ত্রী মিলে রোকেয়া বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে তানিয়ার স্বামী মামুন স্বীকার করেছেন, গত ২৯ মার্চ রাত আটার দিকে তারা রোকেয়ার বাসায় যান। সে সময় ওই বাসায় আরো তিনজন পুরুষ ছিলেন। এরা চলে যাবার পর রাতে খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় ওষুধ খাইয়ে মা ও ছেলেকে অজ্ঞান করে হত্যা করেন। মামুন স্বীকার করেছেন তিনি নিজেই অন্তত ১০০টি ছুরিকাঘাত করেছেন রোকেয়ার সারা শরীরে। ওইদিন রাত ১টা থেকে দেড়টার দিকে তারা এ ঘটনা ঘটান। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর রাত ২টার দিকে তারা ওই বাসা থেকে বের হয়ে যান বলে পিবিআইকে জানিয়েছেন।