স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের ডলুড়া সীমান্ত এলাকায় চলতি নদীর তীর খুড়ে পাথর উত্তোলনের সময় মাটিচাপা পড়ে দুই নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার ফেনিবিল গ্রামের চান মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম ও গুচ্চগ্রাম গ্রামের আলেয়া বেগম। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলার ডলুড়া এলাকার চলতি নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত নদী চলতিতে মাটি খুড়ে বালু ও পাথর আহরণ করেন স্থানীয় লোকজন। সম্প্রতি বোমা মেশিন বসিয়েও অবৈধভাবে অনেকে বাালু ও পাথর উত্তোলন করে পুরো নদীটি ঝূকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ফলে নদীর তীরে স্থানে স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে বালু মিশ্রিত মাটিতে ফাটল আরো স্পষ্ট হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে নারী শ্রমিক রহিমা বেগম ও আলেয়া বেগম বরাবরের মতো ওড়া কোদাল নিয়ে গর্ত খুড়ে পাথর উত্তোলন করতে যান। এক পর্যায়ে তারা বেশি পাথরের আশায় গভীর গর্ত খুড়তে থাকেন। এসময় নদী তীরে খনন করা গর্তের মাটি তাদেরকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। দুই নারী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ দুটি উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হন্থান্তর করেছেন। এ ঘটনায় নিহত দুই নারীর পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল খালেক বলেন, চলতি নদী এখন ঝূকিপূর্ণ হয়ে গেছে। সম্প্রতি বোমা মেশিনের কারণে নদীতে অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই দুই নারী তীর খনন করে বেশি ভিতরে ডুকতে গিয়ে চাপা পড়ে মারা গেছেন। তিনি বলেন, অবিলম্বে নদী বাচাতে ও দুর্ঘটনা কমাতে বোমা মেশিন বন্ধ করতে হবে।
সদর থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে নদীর তীর নরম ছিল। তাছাড়া ওই দুই নারী বেশি পাথর পাবার আশায় খনন করে গর্তের অনেক ভিতরে ডুকে গিয়েছিলেন। ফলে গর্তের মাটিচাপায় তাদের মৃত্যু ঘটেছে।