অনলাইন::
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে এবারের চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়নি। তাই প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্যরা নতুন পন্থা বেছে নিয়েছেন। আর তা হলো পরীক্ষার ফল পরিবর্তন! বোর্ড পরীক্ষার ফল তারা পরিবর্তন করতে পারে এমন তথ্য সামাজিক যোযাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে। শুধু তাই নয় ফল পরিবর্তন হয়েছে এমন স্ক্রিন শটও প্রচার করছে। এর ফলে তাদের ফাঁদে পা দিচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীরা। ডেইলি বাংলাদেশের অনুসন্ধানে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কিছু লিঙ্ক এসেছে। তাদের মধ্যে ‘http://www.educationbdboardresult.com/rint/’ লিঙ্কটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে বাংলাদেশ শিক্ষাবোর্ডের নামে অনুরূপ একটি ওয়েবসাইটে ফোল্ডার তৈরী করেছে হ্যাকাররা। আর সেখানে যেই শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে নিজেদের ফল পরিবর্তন করতে বলে তারা ওই শিক্ষার্থীর একটি ভুয়া ফাইল তৈরী করে ওয়েবসাইটে আপলোড করে। কিন্তু বাস্তবে সেটি বাংলাদেশ শিক্ষাবোর্ডের নয়। আরো পড়ুন> এইচএসসির ফল পরিবর্তনের প্রলোভন ফেসবুকে! ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে পরিবর্তীত ফলাফলের ফাইলগুলো একদিনে তৈরি হয়নি। এক একটি ফল এর তৈরিকৃত ফাইল এক একদিনে তৈরি হয়েছে। যদি এই ফল শিক্ষাবোর্ড থেকে দেয়া হতো তাহলে সবগুলো ফাইল একই দিনে তৈরির তারিখ থাকতো। একই সঙ্গে সেই ফোল্ডারে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীদেরও ডাটাবেজ তৈরি হতো।
এদিকে প্রতারক চক্র যখন শিক্ষার্থীদের চেঞ্জ করা কোন ফল এর লিংক দেয় তখন সেই লিংক এর ওয়বে এড্রেসটি ‘http://www.educationbdboardresult.com/rint/761134.html’ এই রকম হয়। কেননা একটি ডোমেইন নেইম দিয়ে অন্য একটি ডোমেইন নেইম তৈরি করা যায় না। তার মানে তারা ওয়েবসাইটের ভিতরে একটি কাস্টমাইজ ফোল্ডার তৈরি করেছে। ঐ ফোল্ডারটির ভিতরে ভিকটিমের ভূয়া ফল ফাইল আপলোড করে রাখে এবং ভিকটিমকে ঐ ফাইল লিংক বা ইউআরএল (URL) পাঠায়। যেমন- ‘http://www.educationbdboardresult.com/rint/761134.html’ এটি একজন ভিকটিমের জন্য ফেইকভাবে তৈরিকৃত ফল।
অন্যদিকে শিক্ষা বোর্ড থেকে কোন শিক্ষার্থীর ফল সার্চ দেয়া হলে সেই ফলের ওয়েব এড্রেসটি ‘http://www.educationbdboardresult.com/’ এই রকমই থাকবে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না।
এছাড়া আর একটি লিংক পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে তারা শিক্ষার্থীদের যে লিংক পাঠাচ্ছে তা একদম প্রিন্ট কপি। কিন্তু বাস্তবে তা আদৌও সম্ভব নয়। কেননা একটি সার্ভারে যখন ফাইল ইনপুট করা হয় তখন তা এইচটিএমএল (html) ফরম্যাটে থাকে। আর যখন শিক্ষার্থীরা সঠিক তথ্য দিয়ে ফল সার্চ করে তখন তা ফাইল আকারে না এসে ডাটাবেজ থেকে আউটপুট দেয়। কিন্তু প্রতারকদের পরিবর্তন করা ফলগুলো ফাইল আকারেই চলে আসে। যা সম্পূর্ণ ফেইক একটি ফল।