অনলাইন:
একজন প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনকাহিনী নিয়েই নাটকটির বিস্তার। তবে লোকটা প্রতিবন্ধী হলেও অথর্ব নয়, কাজ করতে পারে। সর্পিলাকৃতির হাত-পা নিয়ে পৃথিবীতে ঠিকে থাকার আমরণ চেষ্টা করে যায়। পরান্নমুখিতায় বড়ো ঘৃণা তার। চাঁদ জোছনার খুনসুটির মতো আপন সংসারে অনাস্বাদিত সুখ খুঁজে বেড়ায় সে। যে সুখ মায়াহরিণীর মতো পলকেই আড়াল হয়ে যায়; এর বড়ো কাঙাল লোকটা। এই সমাজ এই দেশের মানুষ তাকে বড়ো পোড়ায়। এ এক বিকলাঙ্গ মানুষের করুণ ইতিহাস। সমাজের তীক্ষ্ণ হুল যাকে রক্তাক্ত করে জন্মাবধি, সে চায় না বংশ পরম্পরায় তার মতো তার সন্তান উপেক্ষিত হোক। তাই আপন দুগ্ধপোষ্য সন্তানকে খুন করে উন্মাদ হয়। প্রলাপ করে। এ-খুনের দায় স্বীকার করে আবার করেও না। মুহূর্তের একটা দীর্ঘশ্বাস আপনার ভিতরে ডালপালা ছড়িয়ে দিতে পারে। এরকম একটি জীবনীগল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক- ‘একটি দীর্ঘশ্বাসের ডালপালা’ নাটকটি প্রযোজনা করবে থিয়েটার সিলেট। নাটকের মিউজিক করেছেন রাফি ইসলাম।
২৬ -২৮ এপ্রিল শুরু হওয়া উৎসবের দদ্বতীয় দিন ক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে সুফি সুফিয়ানের রচনা ও কামরুল হক জুয়েলের নির্দেশনায় নাটক ‘জৈন্তেশ্বরী’। জৈন্তার রাজবাড়ির কাহিনী নিয়ে নাটকটি রচিত হয়েছে । নাট্যকারের নাট্যভাষ্য অনেকটা এরকম, ‘জৈন্তেশ্বরী’ লক্ষ্মী আর কুড়ির হিংস্র প্রেমের ইতিহাস। তখন ভারতবর্ষ ব্রিটিশদের দাসত্ব মেনে নিলেও জৈন্তা স্বাধীনরাজ্য। পাঁচালি লোককথা আর সান্ধ্য-ইতিহাস থেকে কুড়িয়ে আনা এই নাটকের ঐতিহাসিক সময়কাল ১৭৮২-১৭৮৮।
উৎসবের শেষ দিন ২৮ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় অবয়ব নাট্যদল, ঢাকার প্রযোজনায় নাটক ‘ফেরিওয়ালা’ প্রদর্শনের মাধ্যমে শেষ হবে ৩ দিনব্যাপী এ নাট্যোৎসব। আসাদুজ্জামান দুলালের রচনায় নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন শাহিদুল শ্যানন।