স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ কারাগার এলাকার অভ্যন্তরিণ কোয়ার্টারে দাম্পত্য কলহের জের ধরে মারা গেছে এক কারারক্ষী। তার নাম আমজাদ হোসেন ধৈর্য্য (২৫)। তিনি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ঘিলাতলা গ্রামের জীতেন্দ্র দাসের ছেলে।
কারাসূত্র জানায়, গত ১০ এপ্রিল এফিডেভিট করে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হন ধৈর্য্য দাস। তার নাম হয় আমজাদ হোসেন ধৈর্য্য। তিনি প্রেম করে একই কারাগারে কর্মরত এক মুসলিম নারী কারারক্ষীকে বিয়ে করেন। তবে এই বিয়ে নিয়ে শুরু থেকে আমজাদ হোসেন ধৈর্য্য ও তার পরিবারের সঙ্গে বনিবনা চলছিলনা। বিয়ের পর কারা কর্তৃপক্ষ স্বামী স্ত্রীর নামে আলাদা কোয়ার্টার বরাদ্দ দেন এবং দুজন স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছিলেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় রান্নাবান্না করছিলেন কারারক্ষী স্ত্রী। এই সময় শোবার ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ফাস দিয়ে আতœহত্যা করেন বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় সদর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জেল সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ১০ এপ্রিল দুই কারারক্ষী ভালোবেসে বিয়ে করেন। তারা একসঙ্গে কোয়ার্টারে স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছিল। শুক্রবার বিকেলে রান্না বান্না করছিলেন স্ত্র। এই সুযোগে বসতঘরে গলায় ফাস দিয়ে আতœহত্যা করেন ধৈর্য্য।
সদর থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।