রাজন চন্দ::
তাহিরপুর উপজেলাকে বাল্য বিয়েমুক্ত ঘোষণার দিন রাতেই দু’টি বাল্যবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দিনব্যাপী উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিয়ে উপজেলার ৭ ইউনিয়নকে বাল্য বিয়েমুক্ত ঘোষনা করা হয়। কিন্তু এ ঘোষনার দিন (মঙ্গলবার) রাতেই তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের সুর্য্যরেগাঁও গ্রামে দুটি বাল্যবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই ঢাকঢোল পিটানো এই কর্মসূচি নিয়ে নাগরিকদের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে মঙ্গলবার রাতে গোপী দাশের কন্যা ক্ষমা দাশ (১৩) এবং উজান জামালগড় গ্রামের প্রমোদ বর্মনের কন্যা তাহিরপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অষ্ঠম শ্রেণীর ছাত্রী পৃথী বর্মণ (১৫) এর বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা সদরের কাছে দুটি বাল্যবিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রশাসনের এই কর্মসূচি নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা পরিষদের সহঃ সাধারন সম্পাদক পলি রায় বলেন, শুধু ঘোষণা দিয়েই বাল্যবিয়ে রোধ করা যায়না। নানামুখি সচেতনতা প্রয়োজন। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে আমাদের বেরুনোর জন্য সংগ্রাম করতে হবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ খালেদুর রহমান বলেন, তাহিরপুর উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাতে যে দুটি বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সে সম্পর্কে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। যার ফলে রোধ করা সম্ভব হয়নি। বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে সমাজের সবাইকে সচেতন না হলে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌছা সম্ভব নয়।