অনলাইন ডেক্স:
সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজারের মেয়ে ডলি বেগম। ভরা তারুণ্যের এক সম্ভাবনার বৈশ্বিক নাম তিনি। ডলি
কানাডার অন্টারিওর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে স্কারবারো সাউথওয়েস্ট আসন থেকে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে জয়লাভ করেছেন মৌলভীবাজারের ডলি বেগম। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন রাতেই ফল ঘোষণা করা হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভ পার্টির গ্রে এলিস।
ডলি বেগম ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৪২ ভোট, যা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে গ্যারি এলিসের চেয়ে ছয় হাজার বেশি। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা গ্যারি পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৭১ ভোট।
কানাডার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) হয়ে নির্বাচনে লড়েন ডলি। এতে তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বর্তমানে দায়িত্বরত লিবারেলস পার্টির লোরেঞ্জো বেরারডিনেট্টি ও পিসি পার্টির গ্যারি এলিস।
ডলির জন্ম বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলায়। ১১ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি কানাডায় চলে যান। কানাডায় গিয়ে জীবনের চরম বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় পড়লে অনেক বছর হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। তার জয়ে কানাডায় বাঙ্গালি কমিউনিটি এখন উচ্ছ্বসিত।
গত ১৫ বছর ধরে স্কারবারো সাউথওয়েস্ট লিবারেলদের দখলে ছিল। এবারের নির্বাচনে লিবারেল প্রার্থী বেরারডেনিট্টি আট হাজার ২১৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
২০১২ সালে টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ডলি। ২০১৫ সালে উন্নয়ন প্রশাসনে মাস্টার্স করেন টরেন্টো ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে।
পড়াশোনা শেষ করে সিটি অব টরেন্টোতে প্রায় ১০ মাস কাজ করেন। গত এপ্রিল পর্যন্ত রিচার্স অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করেন দ্য সোসাইটি অব অ্যানার্জি প্রফেশনান্সে।
বর্তমানে অন্টারিওর কিপ হাইড্রো পাবলিক ক্যাম্পেইনের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছেন ডলি। স্কারবারো স্বাস্থ্য জোটের সহসভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া ওয়ারডেন উডস কমিউনিটি সেন্টারের উপপ্রধান তিনি। বাবা-মা ও ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে অধিকাংশ সময় তিনি স্কারবারোতে বসবাস করেন।
এদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এলিস পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার পর অবসর নিয়েছেন। টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করা এলিসও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।