দিরাই প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভার দাপুটে মেয়র মো. মোশারফ মিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি ছাড়াই অর্ধশত বর্ষী একটি বৃক্ষ কেটে বিক্রি করে ফেলেছেন। প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যমানের এই বৃক্ষটি তিনি মাত্র ৩০ হাজার টাকায় একক সিদ্ধান্তে বিক্রি করে দেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, দিরাই পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের ২০৩ নং দাগের ১নং খতিয়ানের দাউদপুর-রাধানগর সড়কের পাশে প্রায় অর্ধশত বর্ষী একটি বিশালাকৃতির ছায়াময় রেইনটিবৃক্ষ দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীকে ছায়া দিয়ে যাচ্ছে। এই বৃক্ষটি জেলাপ্রশাসকের ১নং খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন উন্নয়নের প্রশ্নে বৃক্ষটি কাটলেও সংশ্লিষ্টদের অনুমতির প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দিরাই পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ মিয়া প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে তিনি ঐতিহ্যবাহী ছায়াময় বৃক্কটি কেটে ফেলেন। পরবর্তীতে তিনি প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যমানের বৃক্ষটি স্থানীয় ব্যবসায়ী জাকারিয়ার কাছে মাত্র ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন।
এদিকে সরকারি বৃক্ষ কর্তনের খবরে গত মঙ্গলবার বিকেলে দিরাই ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা প্রমোদরঞ্জন দাস ও সার্ভেয়ার রুহুল আমিন সরেজমিন তদন্তে যান। ঘটনা¯তলে গিয়ে তারা বৃক্ষ কাটার সত্যতা পান। সার্ভেয়ার রুহুল আমিন বলেন, আমরা সরেজমিন গিয়ে জানতে পেরেছি মেয়র মহোদয় গাছটি মাত্র ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। স্থানীয়রা আমাদের জানিয়েছেন অর্ধশত বছর বয়সী প্রাচীণ গাছটির মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা হবে। আমরা সরেজমিন প্রতিবেদন উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রাচীণ বৃক্ষটি যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কেটে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় পরিবেশবিদরা।
দিরাই পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পরিপত্রের মাধ্যমে জায়গা পৌরভার কাছে হস্থান্তর করেছে। তাই অনুমতির তেমন প্রয়োজন নেই। তাছাড়া উন্নয়নের স্বার্থে রেজুলেশন করে গাছটি কাটা হয়েছে।
দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুম বিল্লাহ বলেনৃ, সার্ভেয়ার এবং তহশিলদারের সরেজমিন গিয়েছিলেন। তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।