দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের জয়কলস সংলগ্ন সুরমার শাখা নদী কালনী থেকে পিছমোড়া হাত বাধা অবস্থায় এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার সকালে এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। যুবকের পরিচয়ও সনাক্ত করেছে পুলিশ। নিহত যুবক সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের পুকেরগাঁও গ্রামের মো. সিকন্দর আলীর ছেলে। তার নাম সাকির আহমদ (২০)। সে একজন সিএনজি চালক। গত ১১ জুলাই রাতে দুষ্কৃতিকারীরা তাকে যাত্রী পরিবহনের কথা বলে নিয়ে ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী, নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, দুইদিন আগে রাতে সুরমা সেতু থেকে যাত্রী পরিবহনের কথা বলে কয়েকজন যুবক তার সিএনজিটি ভাড়ায় নেয়। ধারণা করা হচ্ছে সিএনজি ছিনতাই করতেই তারা শহিদ তালেব সেতুতে নিয়ে হত্যা করে হাত পিছমোড়া করে বেধে নদীতে ফেলে দেয়। এখনো তার সিএনজির খবর মিলেনি। এদিকে শুক্রবার সকালে জয়কলস ইউনিয়নের উজানীগাঁও গ্রামের পশ্চিমে ফতেহপুর মির্জাপুর গ্রামের রাস্তার পূর্ব পাশে সুরমা নাইন্দা নদীর শাখা কালনী নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ মিয়াকে খবর দিলে তিনি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ও ওসি তদন্ত আতিকুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ নদী থেকে তুলে ছুরতহাল তৈরী করা অবস্থায় খবর পেয়ে লাশের আতœীয় স্বজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ সনাক্ত করেন। লাশের কপালে, মুখে গলায় জখমের দাগ ও পিছন দিক থেকে হাত বাঁধা দেখা গেছে। এ সময় নিহত সিএনজি চালক সাকিরের ভাই আশিকনুর এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, তাহার ভাই সাকির একজন সিএনজি চালক।
বিগত বুধবার দিনগত রাত আনুমানিক দেড় ঘটিকার সময় সুনামগঞ্জ বাসষ্টেন্ড থেকে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন লোক সাকিরের সিএনজি রিজার্ভ করে নিয়ে যায়। ঐ রাতে সাকির আর বাড়িতে ফিরেনি তাার সিএনজির ও কোন খবর পাওয়া যায়নি। সাকির বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ সদর থানায় সাকির ও তাহার চালিত সিএনজি নিঁেখাজের বিষয়ে একটি জিডি করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে লোকমুখে উজানীগাঁও এলাকায় একটি লাশ ভেসে উঠেছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ দেখে চিনতে পেরে সাকিরের পিতা-মাতা,ভাই-বোন ও আতœীয়স্বজন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তারা এ ঘটনায় বিচার চান।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।