সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেটে ডাক্তার কর্তৃক ধর্ষনের অভিযোগে গ্রেফতারের পর তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় হাতেনাতে আটক হয়েছেন মসজিদের ইমাম। সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার হাজারিচক গ্রামে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে হাফিজ হাসান আহমদ উরফে আলী হোসেন(২৫) নামক ইমামকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী।
রোববার রাতে মসজিদের হুজরা থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে সে।
গ্রেফতারকৃত ইমাম হাফিজ হাসান আহমদ উরফে আলী হোসেন (২৫) উপজেলার হাজারীচক পশ্চিম জামে মসজিদে ইমামতি করেন। তিনি ওই উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের কুতুব উদ্দিনের বড় ছেলে ও বিয়ানীবাজার আকাখাজনা মাদ্রাসার দাখিল জামাতে শিক্ষার্থী।
ভিকটিমের বাবা জুবের আহমদ বাদী হয়ে ইমামের বিকরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবা হাজারীচক গ্রামের জুবের আহমদ জানান, তার মেয়ে স্থানীয় কলাকুটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার মেয়েটি স্কুলে যায়। ছুটির পর সকল ছাত্র-ছাত্রী বাড়িতে ফিরলেও তার মেয়ে বাড়িতে ফিরেনি। এরপর আত্মীয় স্বজনসহ তিনি এলাকায় খোঁজাখুজি শুরু করেন। খোজাখুজির এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে তারা হাজারীচক পশ্চিম জামে মসজিদে আশ্রয় নেন। এ সময় মসজিদের ইমামকে ডাক দিয়ে তার কক্ষে প্রবেশ করলে ইমাম লাইটের আলো লোকানোর চেষ্ঠা করলে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তখন তারা টর্চ লাইট দিয়ে নিখোঁজ ওই শিশুর জুতা ও স্কুল ব্যাগ ইমামের কক্ষে দেখতে পান। তাদের সন্দেহ বাড়তে থাকলে মসজিদের হুজরা তল্লাশী শুরু করেন। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ইমামের খাটের নীচে শিশুটিকে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ইমামকে আটক করলে তিনি অকপটে সবার নিকট ওই শিশুটিকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে ধর্ষণের কথা শিকার করেন। এ সময় শিশুটির কাপড়ে ধর্ষণের বেশ কিছু আলামত পাওয়া যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে কিছু উত্তম মাধ্যম দিয়ে স্থানীয় মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসলে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ সেখান থেকে তাকে আটক করে নিয়ে আসেন।
জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, আটক ইমামের বিরুদ্ধে ধর্ষেণের শিকার শিশুটির বাবা জুবের আহমদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে আটক ইমাম আলী হোসেন পুলিশের নিকট ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।